ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সতীত্বের প্রমাণ দিতে অগ্নিপরীক্ষায় বসতে হয়েছিল সীতাকে। রামায়ণের সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে বহু যুগ। তবুও মানুষের মন থেকে মোছেনি সতীত্ব পরীক্ষার সেই অভিনব পন্থা। ২০২৩ সালের ভারতে ফের দেখা গেল অগ্নিপরীক্ষার সেই ঘটনা। তবে সীতা নয়, এবার কাঠগড়ায় উঠল এই বক্তির সতীত্ব। তেলেঙ্গানার (Telengana) এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
ঠিক কী ঘটেছে তেলেঙ্গানায়? জানা গিয়েছে, মুলুগু এলাকার বাসিন্দা গঙ্গাধর নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্ক রাখার অভিযোগ ওঠে। গঙ্গাধরের এক দাদার অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন গঙ্গাধর। যদিও এই দাবিকে সমর্থন করেননি গঙ্গাধরের স্ত্রী। তা সত্ত্বেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয় গঙ্গাধরকে। স্থানীয় প্রধানদের নির্দেশ অনুযায়ী সতীত্ব প্রমাণের পরীক্ষায় বসতে হয় তাঁকে। রামায়ণের মতোই অগ্নিপরীক্ষার নিদান দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ১১ লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয় গঙ্গাধরকে।
স্থানীয় প্রধানদের নির্দেশ মেনেই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অগ্নিপরীক্ষার আয়োজন করা হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি মাঠে জ্বলন্ত কাঠকয়লা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কয়েকবার সেই জায়গাটি প্রদক্ষিণ করে অবশেষে জ্বলন্ত কয়লার মধ্যে দিয়ে হেঁটে যান। তারপরে সেই কয়লার স্তুপের মধ্যে থেকেই গরম লোহার রড তুলে সরিয়ে দেন। স্থানীয়দের দাবি, এই সময় গঙ্গাধরের হাত-পা যদি পুড়ে যায়, তার অর্থ সে দোষী। পরীক্ষার পর গঙ্গাধরের স্ত্রীর দাবি, হাত পোড়েনি তাঁর স্বামীর। অর্থাৎ তিনি নির্দোষ।
Agnipareeksha!
In a modern day version of Ramayana, a husband was made to jump into fire
in Mulugu #Telangana to prove his fidelity. Gangadhar was even made to remove a red hot spade from the fire to prove his innocence. Interestingly, it wasn’t his wife who suspected him.Cont: pic.twitter.com/zPSdKN1k82— Revathi (@revathitweets) March 1, 2023
কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ অভিযোগকারী। তাঁর মতে গঙ্গাধরের হাত পুড়েছে এবং তার দোষ প্রকাশ্যে এসেছে। এই অভিযোগের পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন গঙ্গাধর ও তাঁর স্ত্রী। তবে পালটা দিয়ে গঙ্গাধরের দাদার অভিযোগ,”এট আমাদের বহুদিনের নিয়ম। এইভাবেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হয়। গঙ্গাধরের হাত পুড়েছিল, তাই আমরা ওকে অপরাধ স্বীকার করতে বলেছি। তা না করে পুলিশে অভিযোগের হুমকি দিচ্ছে।” অন্যদিকে গঙ্গাধরের দাবি, “আমাদের পূর্বপুরুষের নীতি মেনেই আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেছি। তাও আমাকে হেনস্তা করা হচ্ছে, সেই জন্যই পুলিশে অভিযোগ করেছি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.