Advertisement
Advertisement
গণধর্ষণ

এনকাউন্টারে মৃতদের দেহ নিতে অস্বীকার পরিবারের, শেষকৃত্য করবে পুলিশই!

ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

Telangana Police likely to perform last rites of 4 accused

ছবি: ফাইল

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 6, 2019 7:26 pm
  • Updated:December 11, 2019 4:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর ছেলেকেও জ্বালিয়ে দেওয়া হোক। হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে এভাবেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন এক অভিযুক্তের মা। আরও এক অভিযুক্তের বাবা বলেছিলেন, তাঁদের ছেলেরও যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়। তবে আদালত তাদের দোষী প্রমাণ করার আগেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে চার অভিযুক্তর। আর এবার তাদের মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করল পরিবার। ফলে যা খবর, এনকাউন্টারে মৃত চারজনের শেষকৃত্য করবে পুলিশই।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ। সামশাবাদের কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চার অভিযুক্তকে। ঠিক সেই সময়ই আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে তারা। পুলিশকে ইট ছুঁড়ে হামলার চেষ্টাও করে। আত্মরক্ষায় পালটা গুলি চালায় পুলিশ। আর তাতেই মৃত্যু হয় চারজনের। ইতিমধ্যেই এনকাউন্টারের এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে চারজনের মৃতদেহ। পরিবারের কাছেও বাড়ির ছেলেদের মৃত্যুর খবর পৌঁছেছে। কিন্তু আত্মীয় পরিজনদের কেউই মৃতদেহ নিতে চায় না বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফলে শোনা যাচ্ছে, শেষকৃত্য সম্পন্ন করবে হায়দরাবাদ পুলিশই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আইন দায়িত্ব পালন করেছে’, হায়দরাবাদ এনকাউন্টার বিতর্কের জবাব সিপি সাজ্জানরের]

এর আগে সাংবাদিক সম্মেলনে সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনার ভিসি সাজ্জানর জানান, এনকাউন্টার নয়, দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে, চার অভিযুক্তর। যেখানে পুলিশের তরফে দু’জন গুরুতর জখম হন। মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, আহত কনস্ট্যাবল অরবিন্দ গৌড়ু এবং স্টেশন ইন-চার্জ ভেঙ্কটেশ্বরের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। দুজনের অবস্থাই এখন স্থিতিশীল। দুই অভিযুক্তের থেকে পরে বন্দুকও উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চার অভিযুক্তকে নিয়ে দশজন পুলিশ কর্মী ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে গিয়েছিলেন। অভিযুক্তরা জানিয়েছিল, নির্যাতিতার দগ্ধ দেহের কাছেই ফোনের পাওয়ার ব্যাংক, ঘড়ি ও মোবাইল তারা ফেলে দিয়েছিল। সেখানে পৌঁছনোর পরই ঘটে সেই ঘটনা। তাদের মধ্যে দু’জন আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। আত্মসমর্পণ করতে বলা হলেও তারা গুলি ছুঁড়তে থাকে। পালটা গুলি চালায় পুলিশও। তাতেই মারা যায় অভিযুক্তরা। পুলিশ জানায়, তাদের হাতে সে সময় হাতকড়া ছিল না।

এদিকে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দাবি, এই এনকাউন্টার সমাজকে ভুল বার্তা দিতে পারে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তাই তা খতিয়ে দেখা জরুরি। যে কারণে ঘটনাস্থলে তাদের একটি দলকেও পাঠানো হয়। কেন পুনর্নির্মাণের সময় অভিযুক্তদের হাতকড়া পরানো হয়নি, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘জয় তেলেঙ্গানা পুলিশ’, হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের খবরে উচ্ছ্বাস উমা ভারতীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement