Advertisement
Advertisement
হায়দরাবাদ

হায়দরাবাদ ধর্ষণে অভিযুক্তদের জেলে খাওয়ানো হল খাসির মাংস! ক্ষোভ সোশ্যাল মিডিয়ায়

জেলের নিয়ম মেনেই ওই খাবার দেওয়া হয়েছে, দাবি আধিকারিকদের।

Telangana doctor rape and murdered case spent a sleepless night
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 2, 2019 9:20 pm
  • Updated:December 2, 2019 9:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হায়দরাবাদে চিকিৎসক ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের জন্য জেলে রাজকীয় আয়োজন। চার অভিযুক্তের অনুরোধে তাঁদের খাওয়ানো হয় মটন কারি। শুক্রবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রথম রাতেই জেলে রাজকীয় খাবার পায় তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই এক খবর ভাইরাল হয়েছে। যার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন নেটিজেনরা। এ হেন জঘন্য অপরাধীদের জামাই আদর কেন? প্রশ্ন তুলছে সোশ্যাল মিডিয়া।


হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শুক্রবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে তাঁরা। অভিযুক্তদের শনাক্তও করা হয়েছে। এরা হল মহম্মদ আরিফ, জল্লু নবীন, জল্লু শিবা এবং চেন্নাকেসাভুলু। এদের মধ্যে ট্রাক চালক আরিফই এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত। এই চার অভিযুক্তকে আপাতত চেরাপল্লির একটি জেলে রাখা হয়েছে। জেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। জেলের এক আধিকারিক এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “অভিযুক্তরা জেলে বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছে। জেলের নিয়ম অনুযায়ী ওদের দুপুরে ডাল-ভাত এবং রাতে মটন কারির সঙ্গে ভাত দেওয়া হচ্ছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদের পর এবার রাজস্থান, মেয়েকে চেন দিয়ে বেঁধে লাগাতার ধর্ষণ বাবার]


উল্লেখ্য, বুধবার রাতে, তেলেঙ্গানার সাধনগরের সামশাবাদের কাছে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এক চিকিৎসককে। বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী চিকিৎসক হায়দরবাদের কাছে সামশাবাদের টোলপ্লাজায় নিজের স্কুটিটি রাখেন। সেখান থেকে কাছেই একজন ত্বকের চিকিৎসকের কাছে যান। রাত নটার সময় টোলপ্লাজার কাছে পৌঁছান তিনি। দেখেন, তাঁর স্কুটির একটি চাকা ফুটো হয়ে গিয়েছে। ঠিক ততক্ষণ তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল ওই তরুণীর বোনের। তিনি শেষবার ফোনে ভয় লাগছে বলে জানান বোনকে। এরপর থেকে ফোন সুইচড অফ হয়ে যায় ওই চিকিৎসকের। ফোনে না পেয়ে কিছুক্ষণ পরই তাঁর খোঁজে থানায় যায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, সেখানে গিয়ে তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হয়। শেষমেষ, শুক্রবার এই ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আপাতত চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতে রয়েছে তারা। এদিকে, এই ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠন করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement