সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এলাকায় অবৈধ খননকার্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। এই অপরাধে এবার দু’জন দলিত যুবককে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল তেলেঙ্গানায়। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় এক বিজেপি নেতার। অভিযুক্ত বিজেপি নেতা এম ভারত রেড্ডির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে্ছে পুলিশ। স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই বিজেপি নেতা পলাতক। সন্ধান পেলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।
[চলন্ত ট্রেনে গণধর্ষণের চেষ্টা, আতঙ্কে মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপ মায়ের]
ঘটনাটি মাস দুয়েক আগের। তবে সম্প্রতি ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। তেলেঙ্গানার নিজামাবাদ শহরের বিজেপি নেতা এম ভারত রেড্ডির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেন স্থানীয় এক দলিত নেতা মানিকুল্লা গঙ্গাধর। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় নাভিপেট ব্লকের আভানগাপট্টানম গ্রামে একটি পুকুর লাগোয়া জমিতে বেআইনিভাবে খননকাজ চলছিল। প্রতিবাদ করেছিলেন কোন্ড্রা লক্ষণ ও রাজেশ্বর নামে গ্রামেরই দুই দলিত যুবক। এরপরই তাঁদের উপর চড়াও হন অভিযুক্ত বিজেপি নেতা এম ভারত রেড্ডি। প্রথমে ওই দুই দলিত যুবককে প্রকাশ্যে বেত মারা হয়। তারপর আক্রান্তদের একটি নোংরা পুকুরে ডুব দিতে বাধ্য করেন ওই বিজেপি নেতা। শুধু তাই নয়, মোবাইলে ঘটনার ভিডিও করে রাখেন এম ভারত রেড্ডির অনুগামীরা। পুলিশের বক্তব্য, ঘটনার পর আতঙ্কে থানায় অভিযোগ দায়ের করারও সাহস পাননি আক্রান্ত ওই দুই দলিত যুবক। তাই দুই মাস কেটে গেলেও, ঘটনার কথা কেউ জানতেও পারেননি। রবিবার দলিত নিগ্রহের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই অভিযুক্ত বিজেপি নেতা এম ভারত রেড্ডির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় এক দলিত নেতা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক এন বুচাইয়া জানিয়েছে, অভিযুক্ত এম ভারত রেড্ডি পলাতক। সন্ধান পেলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।
[প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডে প্রমাণ লোপাট, সিবিআই নজরে ৪ পুলিশকর্মী]
প্রসঙ্গত, এদেশে অস্পৃশ্যতা বা জাত-পাতের ভিত্তিতে কাউকে হেনস্তা বা নিগ্রহ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু, নানা অজুহাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলিতদের নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। গত মাসেই বিজেপিশাসিত গুজরাটে গরবা দেখার অভিযোগে এক দলিত যুবকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল।
[বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেঁধে দিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.