সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালে একটুর জন্য হয়নি। কিন্তু ২০২২ সালে এসে বিহারের (Bihar) ক্ষমতার অলিন্দে লালুপ্রসাদ যাদবের ছোট ছেলে। রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) উত্থান সত্য়িই চমকে দেওয়ার মতো। কিন্তু তা বলে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে আবেগে ভেসে যেতে রাজি নন তিনি। বরং দলের ইমেজের উন্নতিতেই আপাতত মন দিয়েছেন তেজস্বী।
শনিবার তিনি একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছেন তাঁর ক্যাবিনেট সতীর্থদের জন্য। সেখানে তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, কী কী করতে হবে। আর কী কী একেবারেই করা যাবে না। যার মধ্যে অন্যতম হল, কেউই যেন নতুন গাড়ি না কেনেন। কোনও অনুরাগীকেই পা ছুঁতে দেওয়া যাবে না। সকলের সঙ্গেই নমস্কার কিংবা আদাবের মাধ্যমে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বিনিময় করতে হবে। এছাড়া তেজস্বীর নির্দেশ, মন্ত্রীরা যেন ‘মর্যাদা ও নম্রতার সঙ্গে’ আচরণ করেন। জাত-ধর্ম বিচার না করে দরিদ্র মানুষদের সেবা করেন। পাশাপাশি ফুলের গুচ্ছ তথা বোকে নয়, বই কিংবা কলমের বিনিময় করুন।
বিহারের বিধানসভায় সবথেকে বেশি আসন রয়েছে আরজেডির দখলে। ধারেভারে সবদিক থেকেই নীতীশের মন্ত্রিসভায় দাপট তেজস্বীদেরই। কিন্তু লালু পুত্র সকলকে কার্যত মনে করিয়ে দিয়েছেন, একথা ভুললে চলবে না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই। কাজেই অযথা আত্মতুষ্টিতে না ভোগাই ভাল। আর সেই কারণেই তাঁর নির্দেশ দেওয়ার সময় দু’বার তাঁকে ”মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে” বলতে শোনা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সরকারি প্রকল্প ও উদ্যোগ সম্পর্কে সকলকে সচেতন করার আরজিও জানিয়েছেন তেজস্বী। আসলে আরজেডির মন্ত্রীদের অনেকের বিরুদ্ধেই মামলা ঝুলে রয়েছে। তাই যে করে হোক, দলের ভাবমূর্তি উদ্ধার করতে মরিয়া তেজস্বী।
স্বাভাবিক ভাবেই তেজস্বীর এহেন উদ্যোগকে কটাক্ষ করেছে সদ্য গদিহারা বিজেপি (BJP)। গেরুয়া শিবির মানতে পারছে না এভাবে ক্ষমতা হাত থেকে চলে যাওয়ার বিষয়টি। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপির মুখপাত্র নিখিল আনন্দকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”চিত্রনাট্যটা তো ভালই লেখা হয়েছে। কিন্তু কে পড়বে আর কে বুঝবে?” তবে তিনি এও বলছেন, ”তবে বিহারের স্বার্থেই মন্ত্রীদের উচিত তেজস্বী ভাইয়ের পরামর্শ মেনে চলা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.