সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি বছর মে মাসেই ধুমধাম করে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন লালুপুত্র তেজপ্রতাপ যাদব৷ ছয় মাস যেতে না যেতেই ডিভোর্সের মামলা করলেন তিনি৷
শুক্রবার পাটনা আদালতে ডিভোর্সের মামলা করেছেন বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজপ্রতাপ বলে খবর৷ চলতি বছর ১৮ এপ্রিল ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে বাগদান পর্ব সারেন তিনি৷ আর ১২ মে হয় বিয়ে৷ ছেলের বিয়েতে উপস্থিত থাকতে প্যারোলে জেল থেকে বাইরে এসেছিলেন আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব৷ ২০০টি গাড়ি এবং ঘোড়া সঙ্গে নিয়ে বিবাহ আসরে পৌঁছেছিলেন তেজপ্রতাপ৷ জমকালো সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক-সহ রাজনৈতিক জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা৷ কিন্তু বিয়ের পাঁচ মাসের মধ্যেই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানালেন তেজপ্রতাপ৷ যদিও বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ এখনও সামনে আসেনি৷
ঐশ্বর্য রাইয়ের পরিবারও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত৷ তাঁর বাবা চন্দ্রিকা রাই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা৷ সুতরাং দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক নিবিড়ই ছিল৷ তাই কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন লালুপুত্র তা কারও কাছেই স্পষ্ট নয়৷ আগামী ২৯ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত বলে জানা গিয়েছে৷
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ছোট ভাই তেজস্বীর সঙ্গে তেজপ্রতাপের মনোমালিন্যের খবর বেশ জলঘোলা করেছিল৷ একটি টুইটে সেই জল্পনা নিজেই উসকে দিয়েছিলেন বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ টুইটে তেজপ্রতাপ জানিয়েছিলেন, “অর্জুনকে হস্তিনাপুরের সিংহাসনে বসিয়ে আমি দ্বারকা চলে যেতে চাই”৷ তখন থেকেই শুরু হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের রাজনীতি ত্যাগের জল্পনা৷ পরে তাঁর সিনেমায় নামার খবর সেই জল্পনা আরও তীব্র করে৷ এবার স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক ছেদের পথে হাঁটছেন তিনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.