Advertisement
Advertisement
যৌন সঙ্গম

নিজের স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করতে চাপ বসের! অবসাদে আত্মঘাতী অধস্তন কর্মচারী

অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Teen driven to suicide by boss who forced him to ‘love’ his wife

ছবি: প্রতীকী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 19, 2019 7:43 pm
  • Updated:December 19, 2019 8:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুবতী স্ত্রীর শারীরিক চাহিদা মেটাতে পারত না! তাই যুবক কর্মচারীকে তার সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছিল বছর ৪৫-এর বস। প্রথমে চাপ পড়ে সেই সম্পর্ক মেনেও নিয়েছিল যুবকটি। কিন্তু, কিছুদিন পরে অবসাদের জেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছিল পাঁচমাস আগে। তখন এই বিষয়টিকে সাধারণ আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করেছিল মৃতের পরিবার ও পুলিশ। শুধুমাত্র তার অফিসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল পরিবার। আর তার ভিত্তিতে তদন্ত নেমেই আসল সত্য সামনে আনল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে। ঘটনাটি গুজরাটের আমেদাবাদের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাটের গোমতীপুরের বাসিন্দা ১৯ বছরের ওই যুবকের নাম নিখিল পারমার। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে আমেদাবাদের একটি সংস্থায় কাজে যোগ দেয় সে। প্রথম সব ঠিকঠাক থাকলেও গত জুনমাসে বাড়িতে ফোন করে কাজের জায়গায় অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান নিখিল। কাজ ছেড়ে দিতে চায় বলেও পরিবারকে জানায়। এর জন্য তার উপরে থাকা আধিকারিক ও তার স্ত্রীকে দায়ী করে। বলে, ওদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই সে কাজ ছাড়তে চাইছে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: CAA নিয়ে দেশব্যাপী বিক্ষোভের জের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে জরুরি বৈঠক অমিত শাহর]

 

এই কথা শুনে কাজ ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয় ওই যুবকটির বাবা। সেই মতো কাজ ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসে যুবকটি। কিন্তু, তার কয়েক মাসের মাইনে আটকে রাখে অভিযুক্ত ব্যক্তি। পরে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে দেখে জুলাই মাসের ১৫ তারিখে যুবকটিকে নিজের অফিসে ডেকে পাঠায়। বলে, বকেয়া টাকা ফেরত দেবে। সেই কথা শুনে যুবকটি আমেদাবাদ গিয়ে অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা করে। তার ঠিক পাঁচদিন বাদে ওই ব্যক্তি নিখিলের বাড়িতে ফোন করে তার আত্মহত্যার খবর জানায়।

[আরও পড়ুন: অমানবিক প্রশাসন! উত্তরপ্রদেশে ধর্ষিতা মেয়েকে পিঠে নিয়ে হাসপাতালে গেলেন বাবা]

 

প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না মৃতের পরিবারের মনে। কিন্তু, কয়েকদিন আগে নিখিলের মোবাইলে থাকা কয়েকটি মেসেজ চোখে পড়ে তার ভাই-বোনের। আর সেগুলি খতিয়ে দেখতেই জানা যায় পুরো ঘটনাটি। সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়গুলি পুলিশকে জানায় তারা। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার ২৫ বছরের যুবতী স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement