সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা-বাবাকে বিদায় জানাতে এসে করুণ পরিণতি ছেলের। চলন্ত ট্রেনের কামরা থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে বেঘোরে খোয়াতে হল প্রাণ। চোখের সামনে সন্তানের এহেন পরিণতিতে শোকে বাক্যহারা প্রবীণ দম্পতি। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[স্বাধীনতার সাত দশক পরও নেই রাস্তা, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছাতে ডুলিই ভরসা রোগীদের]
ঘটনাটি বেঙ্গালুরু শহরের। সোমবার বাবা-মাকে কারমেলারাম স্টেশনে ছাড়তে আসেন বছর আঠাশের তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী বিক্রম বিজয়ন। বাড়ি কেরলের পালাক্কড় শহরে হলেও পেশার খাতিরে বেঙ্গালুরুর সেক্টর-৩, লে-আউট এলাকায় থাকতেন বিক্রম।আর পাঁচটা চাকরিজীবির মতোই কাজের চাপে নিয়মিত বাড়ি যাওয়া হয়ে উঠত না তাঁর। তাই মাঝে মাঝেই একমাত্র ছেলের কাছে এসে কয়েকটা দিন কাটিয়ে যেতেন বিজয়ন ও উদয় কুমারি।এবারেও বেড়ানো সেরে বাড়ির ফেরার জন্য যশবন্তপুর-কান্নুর এক্সপ্রেসে চেপেছিলেন ওই প্রবীণ দম্পতি। যথারীতি বাবা-মাকে ছাড়তে এসেছিলেন বিক্রম। ট্রেনের এসি কামরায় সমস্ত কিছু গুছিয়ে দিতে গিয়ে ঘড়ির কাঁটার উপর থেকে নজর সরে যায় তাঁর। চলতে শুরু করে ট্রেন। তড়িঘড়ি কামরা থেকে নামতে গিয়ে পা ফসকে ট্রেনের তলায় চলে যান ওই যুবক। মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর শরীর। এদিকে ছেলেকে পড়ে যেতে দেখে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তাঁর বাবা। ঘটনাটি দেখে সঙ্গেসঙ্গে চেন টেনে ট্রেন থামান সহযাত্রীরা। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। কয়েক মুহূর্তের ব্যবধান পালটে দেয় একটি পরিবারের জীবন।
ব্যাপানাহাল্লি থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর বিক্রমের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় শহরের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর বাবা। অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টেশন মাস্টার চন্দন কুমার। এহেন ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে মৃতের গ্রামে।
[‘পুলিশকে দিয়ে অ্যারেস্ট করাব’, হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে টিএমসিপি জেলা সভাপতি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.