সেলোটেপ আটকে খুদে পড়ুয়াদের মুখ বন্ধ করলেন শিক্ষিকা, ভাইরাল ছবি

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট্ট ছোট্ট পায়ে সবে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে পৌঁছেছে দুই খুদে। শিক্ষাক্ষেত্রের মূলস্রোতে ভাসতে এখনও ঢের দেরি। কিন্তু তার আগেই শিক্ষিকার নির্মম মানসিকতার শিকার হতে হল তাদের। যাকে সবে গুরু বলে মানতে শুরু করেছিল তাঁরই ভয়াবহ রূপ দেখে কান্নায় ভাসল তারা। দুই খুদেকে চুপ করাতে তাদের মুখে সেলোটেপ সাঁটিয়ে দিলেন শিক্ষিকা! এমন ঘটনায় যদিও ইতিমধ্যেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

A female teacher of Narayana e-Techno School in Gurugram was caught putting sellotape across mouths of two students. The incident was caught on CCTV. The principal says, “Incident took place on Oct 6 & we terminated her. We will make sure it doesn’t happen anymore.” #Haryana pic.twitter.com/8UzMYnaPdu

Advertisement

— ANI (@ANI) December 8, 2018

আরও পড়ুন:

• গলছে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ, ৪ বছর পর শুরু হবে কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা?
• বঙ্গে বাসা বেঁধে চিন-পাকিস্তানের নাগরিকরা! বিস্ফোরক তথ্য শাহর মন্ত্রকের

• [চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে বিজেপি ও সমাজবাদী নেতার হাতাহাতি]

নক্ক্যারজনক ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। গত ৬ ডিসেম্বর নারায়ণ ই-টেকনো স্কুলের দুই খুদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করতে দেখা যায় এক শিক্ষিকাকে। ক্লাসে কথা বলছিল তারা। এমন বড় অপরাধের জন্য শাস্তি তো পেতেই হত। তাই শাস্তিস্বরূপ তাদের মুখ সেলোটেপ দিয়ে আটকে দেন ওই শিক্ষিকা। গোটা ঘটনা ধরা পড়ে ক্লাসের সিসিটিভি ফুটেজে। এমন ঘটনার কথা গিয়ে পৌঁছায় স্কুলের প্রিন্সিপাল গুরুরাজের কানেও। তিনি জানান, ছাত্রদের সঙ্গে শিক্ষিকা যেমন ব্যবহার করেছেন, তা কখনওই কাম্য ছিল না। সেই কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে আর এমন ঘটনা না ঘটে সেদিকেও নজর রাখবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষিকারা রীতিমতো প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কিন্তু ওই শিক্ষিকা যা করেছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি হবে না। এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত করছি।”

• [মঞ্চ থেকে নামতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সপাটে চড়! দেখুন ভিডিও]

তবে এমনটা প্রথমবার নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষকদের দ্বারা ছাত্রদের প্রহৃত হওয়ার ছবি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে সেসব অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকদের। এবার এত ছোট শিশুদের মুখে সেলোটেপ আটকে দেওয়ার ঘটনাকে ধিক্কার জানাচ্ছে নেটদুনিয়া। অভিভাবকদের প্রশ্ন, এরপর কোন বিশ্বাসে তাঁরা নিজেদের সন্তানকে এমন স্কুলে পাঠাবেন?