সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিশ্রুতি রাখেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তাই সম্মানের সঙ্গে এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির ঘোষণার পরই এই সিদ্ধান্ত নেন তেলুগু দেশম পার্টির নেতা। জেটলি জানিয়ে দেন, অন্ধ্রপ্রদেশকে কোনও বিশেষ মর্যাদা দেবে না কেন্দ্র। তবে আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য প্যাকেজ দেওয়া যেতেই পারে। জেটলির এহেন ঘোষণাতেই বেঁকে বসেন নায়ডু। এরপরেই এক বিবৃতিতে জানিয়ে দেন, পূর্বনির্ধারিত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর লোকসভায় থাকা টিডিপির দুই মন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।
চন্দ্রবাবু নায়ডুর নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন টিডিপির দুই মন্ত্রী। অশোক গজপতি রাজু ও ওয়াই এস চৌধুরি। এই প্রসঙ্গে নায়ডু জানান, অমরাবতীকে রাজধানী হিসেবে সাজিয়ে দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রের। সেইমতো প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিরুপতিতে এসে নিজের মুখে বলেছিলেন, অমরাবতীকে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাজধানী তৈরিতে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। এরপর টানা ২৯ বার দিল্লি গিয়েছেন নায়ডু। সমানে চলেছে তদ্বির। কিন্তু কাজের কাজ যে কিছু হয়নি, তা এখন স্পষ্ট।
জেটলির ঘোষণার পর মুখ খুলেছেন নায়ডু। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে আসবেন। এদিন টিডিপির দুই মন্ত্রীর ইস্তফা দিয়েই শুরু হয়ে যাবে সেই প্রক্রিয়া। অন্ধ্রের প্রতি এই বঞ্চনা তিনি মেনে নেবেন না। অমরাবতীকে রাজধানী তৈরিতে ৪২ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। পরিকাঠামো গত চাহিদা অন্তত সেই কথাই বলে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে দুহাজার ৫০০ কোটি অনুদান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই টাকায় কি একটা রাজধানী তৈরি হওয়া সম্ভব? অভিযোগ তুলেছেন ক্ষুব্ধ চন্দ্রবাবু নায়ডু।
এমনিতেই তেলেঙ্গানা আলাদা রাজ্য হয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে অন্ধ্র। সেই সময় কেন্দ্রের থেকে সহযোগিতার কথা বলা হলেও পরবর্তিতে তেমন কিছুই আসেনি। অন্যদিকে, অবিজেপি ও অকংগ্রেসি দলগুলিকে নিয়ে জোট বাঁধতে চাইছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের এই তৃতীয় ফ্রন্টে নায়ডুর কী ভুমিকা থাকছে, সেটাই এখন দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.