ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় একজোট হয়ে লড়ছে গোটা ভারত। দেশের অধিকাংশই নিজেদের সাধ্যমতো আর্থিক অনুদান দিয়ে এই কঠিন সময়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। অনেকে এও জানে, সরকারি তহবিলে অনুদান দিলেই কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপসিবিলিটি বা সিএসআর স্কিমের আওতায় মিলবে কর ছাড়। কিন্তু বিষয়টা যতটা সহজ ভাবছেন, ততটা নয়।
কেন্দ্রের তরফে জারি সার্কুলেশন অনুযায়ী, যাঁরা সরাসরি পিএম-কেরার্স (PM-CARES) ত্রাণ তহবিলে অর্থ অনুদান হিসেবে দিয়েছেন, শুধুমাত্র তাঁরাই করছাড় পাবেন। কোনও ব্যক্তি বা কোম্পানি রাজ্য বা মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে টাকা দিলে তিনি বা কোম্পানিটিকে সিএসআরের আওতায় ফেলা হবে না। দিন কয়েক আগেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে জানানো হয়, রাজ্যের তহবিলে অনুদান দিলেও কর ছাড় মিলবে। যার জন্য বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানি এবং ব্যবসায়ীদের আর্থিক দিক থেকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানানো হয়।
কিন্তু কেন্দ্রীয় কর্পোরেট মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, COVID-19 মোকাবিলার জন্য তৈরি মুখ্যমন্ত্রী অথবা রাজ্যের ত্রাণ তহবিল সিএসআর ব্যয়ের মধ্যে পড়ে না। তবে এও স্পষ্ট করা হয়েছে যে, কেউ যদি রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা অথরিটিতে (SDMA) আর্থিক অনুদান দেন, তাহলে তা কোম্পানি আইন, ২০১৩ অনুযায়ী সিএসআরের আওতায় পড়বে। এছাড়া সিএসআর খাত থেকে COVID-19-এর জন্য খরচ করলে তাও সিএসআর এক্সপেন্ডিচরের মধ্যেই ধরা হবে। কেন্দ্রের তরফে আরও বলা হয়, কোনও কোম্পানি যদি এই সময় তার কর্মীদের এক্স-গ্রাসিয়া দেয়, তাহলে একবার ব্যতিক্রম হিসেবে তা সিএসআর ব্যয়ের আওতায় থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পিএম-কেয়ার্স ত্রাণ তহবিলের কথা ঘোষণার আগেই ভাইরাস মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের তহবিলে অনেকেই আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। তবে কেন্দ্রের নয়া সার্কুলেশনের পর তাঁদের কর ছাড় পাওয়ার উপর প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.