সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৮ সালেই সরকারি বিমান সংস্থাটির সিংহভাগ শেয়ার বেসরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। তবে অলাভজনক ‘এয়ার ইন্ডিয়া’র নিলামে কেউই আগ্রহ প্রকাশ করেনি। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এবার ১০০ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। কেনার জন্যে ১৭ মার্চ পর্যন্ত আবেদন জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়। জানা গিয়েছে, এরপরই এয়ার ইন্ডিয়া কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে টাটা গোষ্ঠী। এনিয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে টাটার কথা হয়েছে বলেও খবর। প্রসঙ্গত, ১৯৩২ সালে জামশেদজি টাটা ‘টাটা এয়ারলাইন্স’ নামে একটি বিমানসংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেটি সরকারে হাতে যায়। নাম হয় ‘এয়ার ইন্ডিয়া’।
টাটা গোষ্ঠী বর্তমানে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ার ৫১ শতাংশ মালিকানা ভোগ করে। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের সম্পূর্ণ মালিকানাই তাদের। এছাড়া সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যৌথভাবে ভিস্তারাও চালায় তারা। এবার যদি এয়ার ইন্ডিয়ার স্বত্ব তারা কিনে নেয়, তবে আকাশপথের আধিপত্য অনেকটাই চলে আসবে টাটা গোষ্ঠীর হাতে। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার স্বত্ব সহজে কেনা যাবে। এর জন্য কয়েকটি শর্ত রেখেছে কেন্দ্র। যদি কোনও সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে চায়, তবে সংস্থার ৩.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের যে ঋণ রয়েছে তার বোঝাও নিতে হবে। ক্রেতা সংস্থা অন্য কোনও সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে পারে, ভারতীয় সংস্থার হাতেই থাকতে হবে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা। এই সব শর্তই মেনে নিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে এর পর কেন্দ্রের সম্মতি দিতে আর কোনও বাধা থাকবে না। টাটাদের হাতেই হয়তো যেতে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া। শীঘ্রই এনিয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
এদিকে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে করেই চিনের ইউহান থেকে ফিরিয়ে আনা হয় প্রায় ছ’শোরও বেশি ভারতীয়কে। নয়াদিল্লিতে যে দু’টি বিমান এসেছে, তাতে ছিল ৬৪৭ জন ভারতীয় ও ৭ জন মালদ্বীপের অধিবাসী ছিলেন। গোটা অপারেশনে প্রায় ৬৪ জন এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মী শামিল ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩০ জন কেবিন ক্রু, ৮ পাইলট, ১০ জন কমার্শিয়াল স্টাফ। প্রত্যেককেই দীর্ঘকালীন ছুটিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.