Advertisement
Advertisement

Breaking News

Taslima Nasreen

ভারতে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা! ‘এদেশ ছাড়তে হলে মরেই যাব’, বলছেন তসলিমা

১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ছাড়েন 'লজ্জা'র লেখিকা।

Taslima Nasreen says her stay in India at risk
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:September 8, 2024 10:11 am
  • Updated:September 8, 2024 12:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে থাকা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত বিতর্কিত এই লেখিকা বর্তমানে সুইডেনের নাগরিক। তবে থাকেন ভারতেই। কিন্তু গত জুলাই মাসে তাঁর রেসিডেন্স পারমিটের মেয়াদ ফুরিয়েছে। এখনও তা নবীকরণ হয়নি। যা চিন্তায় রেখেছে তসলিমাকে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ”আমি যদি পারমিট না পাই, নিশ্চিত ভাবেই মারা যাব। আমি এমন অবস্থায় রয়েছি যে কোথাও যাওয়ার জায়গাই নেই।”

১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ থেকে চলে আসেন তসলিমা। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়। তার পর ইউরোপে কয়েক বছর থাকার পর ভারতেই বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কলকাতাতেই থাকতেন ‘লজ্জা’র লেখিকা। কিন্তু তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘দ্বিখণ্ডিত’ নিষিদ্ধ হওয়ার পর মৌলবাদীদের হুমকির মুখে বাংলা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। ২০১১ সাল থেকে জয়পুরেই থাকতেন তসলিমা। পরে দিল্লির বাসিন্দা হন। পেয়েছিলেন দীর্ঘকালীন রেসিডেন্স পারমিট। প্রতিবছর যা পুনর্নবীকরণ হয়ে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি তা না হওয়ায় আশঙ্কিত তিনি। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমি ভারতে ভারতে থাকতে ভালোবাসি। কিন্তু প্রায় দেড় মাস হয়ে গেল আমার রেসিডেন্স পারমিট নবীকরণ হয়নি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাক-ক্রিকেটকে বাঁচাতে দরকার গম্ভীরের মতো শক্ত ধাতুর কোচ, চর্চা বর্ডারের ওপারেই]

তবে তসলিমা পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে সরকারপক্ষের কারও যোগাযোগ হয়নি। তিনি বলছেন, ”আমি কারও সঙ্গে কথা বলিনি। অনলাইনে স্টেটাস চেক করে দেখেছি এখনও কোনও কনফার্মেশন পাইনি। যদিও এখনও সেটা ‘আপডেটিং’ দেখাচ্ছে, কিন্তু আগে কখনও এরকম হয়নি।”

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে কি তাঁর পারমিট নবীকরণ না হওয়ার কোনও সম্পর্ক রয়েছে? এর জবাবে লেখিকা বলছেন, ”বাংলাদেশ ও সেখানকার রাজনীতির সঙ্গে আমার তো কোনও যোগই নেই। আমি এখানে সুইডেনের নাগরিক হিসেবেই থাকি। আর আমার পারমিট বাতিল হয়েছে বাংলাদেশ বিতর্ক শুরুর আগে।” তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ২০১৭ সালেও এমন সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেটাকে প্রযুক্তিগত সমস্যা বলেই জানাচ্ছেন তসলিমা।

[আরও পড়ুন: যৌন হেনস্তার অভিযোগ! ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে সাসপেন্ড অরিন্দম শীল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement