Advertisement
Advertisement

Breaking News

Tanishq

দিওয়ালির বিজ্ঞাপনে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত, ফের নেটদুনিয়ার রোষানলে তানিষ্ক

দেখুন কোন বিজ্ঞাপনটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

Tanishq comes under fire again on Twitter over ad advocating Cracker ban | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 9, 2020 2:18 pm
  • Updated:November 9, 2020 4:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাভ-জেহাদ উসকে দিয়েছে তানিষ্কের একটি বিজ্ঞাপন। এই অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো হুমকির মুখে পড়তে হয় গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থাটিকে। তুমুল বিতর্কের মধ্যে পড়ে শেষমেশ সেই বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে ফেলে তানিষ্ক (Tanishq)। কিন্তু দিওয়ালির আগে ফের এই সংস্থার একটি বিজ্ঞাপনকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যার জেরে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া।

দিওয়ালি (Diwali 2020) মানেই ধনতেরাস। আর সেই ধনতেরাসে সোনা-দানা কেনার অভ্যেস অনেকেরই রয়েছে। প্রতিটি গয়না প্রস্তুতকারক কোম্পানিই এই উৎসবের মরশুমে নিজেদের প্রচারে ব্যস্ত। প্রতিযোগিতার বাজারে ঘোষিত হচ্ছে নানা অফারও। দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানিয়েই তাই নতুন বিজ্ঞাপন তৈরি করে ফেলেছে তানিষ্কও। যেখানে নীনা গুপ্তা-সহ বি-টাউনের একাধিক চেনা মুখ দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনকে একেবারেই ভালভাবে নেয়নি নেটদুনিয়ার একাংশ। বরং এই বিজ্ঞাপন হিন্দু সংস্কৃতির ‘অসম্মান’ করেছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। কী দেখানো হয়েছে তানিষ্কের বিজ্ঞাপনটিতে?

Advertisement

আসলে এখানে যে কোনও ধরনের বাজি না পোড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনে অভিনেত্রী সায়নী গুপ্তা বলছেন, “দিওয়ালি সেলিব্রেট করব সবাই। কিন্তু কোনওরকম বাজি পুড়িয়ে নয়। সেটা একেবারেই উচিত নয়। বরং প্রচুর প্রদীপ জ্বালাব। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, সকলে মিলেই হবে আসল সেলিব্রেশন।” আর এই নিয়েই আপত্তি নেটিজেনদের। তাঁদের প্রশ্ন, মানুষ কীভাবে দীপাবলি উৎসব পালন করবে, তা এই বিজ্ঞাপন বলে দেওয়ার কে? তানিষ্ক কেন বাজি না পোড়ানোর শিক্ষা দিচ্ছে? এটি হিন্দু সংস্কৃতি বিরুদ্ধ। এভাবেই ধেয়ে এসেছে সমালোচনা। এমনকী অনেকে তানিষ্ককে ‘জ্ঞান’ দেওয়া বন্ধ করতে বলেও সরব হয়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রেন্ডিং হয়ে যায় #BoycottTanishq। সমালোচনার ঝড় ওঠায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপাতত বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নিয়েছে তারা। দিওয়ালির আগে ফের সোশ্যাল দুনিয়ার বিরাগভাজন তানিষ্ক। যদিও তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।


উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দিল্লি, বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে বাজি বিক্রি ও পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বায়ু ও শব্দদূষণ রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত। যদিও হরিয়ানার মতো রাজ্যে দিওয়ালিতে বাজি পোড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement