সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শান্তির পথে বাধা রাজ্যপাল। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। এই অভিযোগে রাজ্যপালকে সরাতে চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হল তামিলনাড়ুর শাসকদল ডিএমকে (DMK)। তাদের আরও অভিযোগ, রাজ্যে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করছেন রাজ্যপাল।
সে রাজ্যের রাজ্যপালের ভূমিকা বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) আচরণকে মনে করাচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তৎকালীন রাজ্যপালকে সরাতে চেয়ে একাধিক চিঠি দিয়েছিল বাংলার শাসকদল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদনও জানিয়েছিল। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি তামিলনাড়ুতে।
তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি। তাঁর সঙ্গে সে রাজ্যের শাসকদলের বৈরিতা চরমে উঠেছে। এবার রাজ্যপালকে পদচ্যুত করতে চেয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দ্বারস্থ হল ডিএমকে। স্ট্যালিনের দলের অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক ঘৃণাকে উসকানি দিচ্ছেন রাজ্যপাল আরএন রবি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকারকে মানুষের জন্য কাজ করতে বাধা দিচ্ছে। বিধানসভা বিল পাশ হয়ে গেলেও তাঁর কাছে পাঠানো হলে তিনি স্বাক্ষর করছেন না। ফলে ঠিক যেমনভাবে এরাজ্যে হাওড়া-বালি পুরসভা-সহ একাধিক বিল ধনকড়ের কাছে পাঠানো হলেও তিনি স্বাক্ষর করতেন না। নানা অজুহাতে রাজভবনে পড়ে থাকত বিল।
ডিএমকে নেতৃত্বের অভিযোগ, সংবিধান মানছেন না রাজ্যপাল। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে এসমস্ত কিছুরই উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। এগুলো রাজদ্রোহ হিসেবে গণ্য করা যায়। তাই তাঁকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হল ডিএমকে।
শুধু বাংলা বা তামিলনাড়ু নয়, বিজেপিবিরোধী যে কোনও দলশাসিত সমস্ত রাজ্যের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ উঠছে। কেরলেও রাজ্যপালের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে সরানোর দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিল শাসকদল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.