সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনগণনার দোহাই দিয়ে কেন্দ্রের ‘ষড়যন্ত্রে’ আট লোকসভা আসন হারাতে চলেছে তামিলনাড়ু। মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের এই দাবি উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার তিনি দাবি করলেন, “একটি লোকসভা আসনও কমবে না তামিলনাড়ুর।” প্রশ্ন উঠছে, তাহলে শঙ্কিত কেন স্ট্যালিন? ইতিমধ্যে সর্বদলীয় বৈঠকও ডেকেছেন ডিএমকে নেতা।
সীমানা পুনর্গঠন বিতর্ক নিয়ে বুধবার শাহ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে সীমানা পুনর্গঠনের পরেও দক্ষিণের কোনও রাজ্যের লোকসভা আসন কমবে না।” উল্লেখ্য, জনসংখ্যার স্তর বিন্যাসের উপর নির্ভর করে দক্ষিণের রাজ্যগুলির সংসদীয় এলাকাগুলির সীমানা পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই কাজ শুরু হবে আগামী বছর থেকে। এর ফলে লোকসভা এলাকার সীমানায় পরিবর্তন আসতে পারে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নতুন করে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছে। আগামী ৪ মার্চ রাজ্যের সীমানা পুনর্গঠন সংকট নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন স্ট্য়ালিন। তাঁর কথায়, রাজ্য এক সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে। আমাদের দাবি তুলতে হবে। স্ট্যালিনের ভাষায়, “খোলা তরোয়াল ঝুলছে দক্ষিণের রাজ্যগুলির উপরে।” আরও বলেন, “এর ফলে সংসদে আমাদের প্রতিনিধির সংখ্যা কমবে, গলার জোর কম যাবে। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে রাজ্যের কথা ভেবে সমস্ত দলের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গলা চড়ানো উচিত।”
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, লোকসভার সংখ্যা না কমলেও জনসংখ্যার ধরন বা স্তর বিন্যাস বদলে যেতে পারে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে। লোকসভার সীমানা পুনর্গঠনের পর ঠিক যেমনটা হয়েছিল অসমে। যার ফলে ধর্ম ভিত্তিক ভোটব্যাঙ্কে বড়সড় প্রভাব পড়েছিল। এর সুবিধা পেয়েছে শাসক দল বিজেপি। সেই কারণেই দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে সীমানা পুনর্গঠনের নির্দেশে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ডিএমকের মতো ‘ধর্মনিরেপক্ষ’ আঞ্চলিক দলগুলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.