সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) মিছিল, তা সে যতই শান্তিপূর্ণ বলা হোক, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তির আবহাওয়া তৈরি করতে পারে। তাই রাজ্যে আরএসএসের রুট মার্চের অনুমতি দেওয়া যাবে না। এই যুক্তি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল তামিলনাড়ু সরকার। তাঁদের সাফ কথা, PFI নিষিদ্ধ হলে আরএসএসের মিছিলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।
সুদূর দক্ষিণের এই রাজ্যটিতে এখনও সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি সংঘ পরিবার। বিজেপিও তামিলনাড়ুতে হুল ফোটানোর বিস্তর চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এবার RSS তাই কোমর বেঁধে নামছে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষ থেকেই তামিলনাড়ু জুড়ে ‘রুট মার্চ’ করার পরিকল্পনা রয়েছে আরএসএসের। সংঘের সনাতনী পোশাক পরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল করবেন স্বয়ংসেবকরা। কিন্তু সাম্প্রদায়িক অশান্তির সম্ভাবনার কথা বলে সংঘ পরিবারের এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন ডিএমকে (DMK) সরকার।
বাধ্য হয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় সংঘ। প্রথমে সেখানেও ধাক্কা খেতে হয় আরএসএসকে। মাদ্রাজ হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ওই কর্মসূচি বদ্ধ জায়গায় করার নির্দেশ দেয়। বাধ্য হয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় সংঘ। এবারে তাঁরা স্বস্তি পায়। ডিভিশন বেঞ্চ শুধু যে আরএসএসের রুট মার্চের অনুমতি দেয় তাই নয়, একই সঙ্গে ডিএমকে সরকারকে জানিয়ে দেয়, বাক স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব সরকারের। তাই সংঘকে মিছিলের অনুমতি দিতে হবে।
ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়ের বিরুদ্ধেই এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল ডিএমকে সরকার। স্ট্যালিনের সরকারের সাফ কথা, আরএসএসকে মিছিলের অনুমতি দিলে সেটা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত করতে পারে। কারণ আরএসএস ধর্মীয় গোঁড়ামি শেখায়। এর আগে এই ডিএমকেই PFI-এর উদাহরণ তুলে আরএসএসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিল। তাঁদের মুখপত্রে বলা হয়েছিল, ধর্মীয় গোঁড়ামি রুখতে যদি পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তাহলে RSS-কেও নিষিদ্ধ করা উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.