প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন ধর্ষণ করত সৎ বাবা। সেই সঙ্গে মা ও সৎ বাবা মিলে জোর করে বাধ্য করত ডিম্বাণু বিক্রি করতে। এমনই ভয়ংকর অভিযোগ উঠল তামিলনাড়ুর এক ১৬ বছরের কিশোরীর অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গত পাঁচ বছর ধরেই এই নারকীয় অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে ওই কিশোরীকে।
ওই নাবালিকার অভিযোগ, তার মা এস ইন্দ্রাণী (৩৩) প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স করে দিয়ে বিয়ে করেন সইদ আলিকে (৪০)। নিগৃহীতা কিশোরী ইন্দ্রাণীর প্রথম স্বামীর সন্তান। কিশোরী রজঃস্বলা হতেই তাকে বাধ্য করা হয় নিজের ডিম্বাণু বিক্রি করতে। পাশাপাশি তার সৎ বাবা বহুবার তাকে ধর্ষণ করেছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের ইরোডের ওই কিশোরীর।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে মেডিক্যাল ও গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার কর্তাদের নিয়ে তৈরি ছয় সদস্যের এক দল। কোন কোন ফার্টিলিটি ক্লিনিকে ওই কিশোরীর ডিম্বাণু বিক্রি করা হয়েছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি দেখা যায়, ক্লিনিকগুলি অপরাধ সম্পর্কে জানার পরেও ওই ডিম্বাণু সংগ্রহ করেছে তাদেরও শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেই তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে তদন্তকারী দল। ঘটনার তদন্ত করতে তামিলনাড়ুর ইরোড, সালেম, কেরল ও অন্ধ্রপ্রদেশের বেসরকারি হাসপাতালেও খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে ইরোড ও সালেমের দু’টি বড় হাসপাতাল।
এই মামলায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ইন্দ্রাণী, সইদ ছাড়াও আরেক অভিযুক্ত মালাথি। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই বিভিন্ন ফার্টিলিটি ক্লিনিকের সঙ্গে ইন্দ্রাণীদের যোগাযোগ করিয়ে দিত। প্রতিবার সেজন্য ৫ হাজার টাকা কমিশন দেওয়া হত তাকে। বাকি ২০ হাজার টাকা পেত ইন্দ্রাণীরা। জানা গিয়েছে, আধার কার্ডে কিশোরীর বয়স বাড়িয়ে রাখার চক্রান্তও করেছিল অভিযুক্তরা। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.