সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চাকেন্দ্রের ফের এক মহিলা পুলিশকর্মী। কখনও ঘুষ নেওয়া তো কখনও অমানবিক আচরণ, আবার কখনও আমজনতাকে মারধর, সাধারণত নেতিবাচক কাণ্ড কারখানার জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন খাঁকি উর্দিধারীরা। কিন্তু সম্প্রতি বদলাচ্ছে সেই ট্রেন্ড। কিছুদিন আগে এক মহিলা পুলিশ কর্মীর জীবন সংগ্রাম ভাইরাল হয়েছিল। এবার চর্চার কেন্দ্রে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu Cop) এক মহিলা পুলিশের সাহসিকতা। কীভাবে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে এক মহিলাকে ফিরিয়ে আনলেন সেই কাহিনীই ঘুরছে মুখে-মুখে। প্রাণরক্ষা করতে গিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করতেও পিছপা হননি তিনি। ঠিক কী ঘটেছিল?
পুলিশি জেরার সময় হঠাৎই গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী (Self Immolation) হওয়ার চেষ্টা করেন এক মহিলা। পেট্রল ঢেলে গায়ে আগুনও ধরিয়ে ফেলেছিলেন। শেষপর্যন্ত এক মহিলা পুলিশ কর্মীর তৎপরতায় প্রাণে বাঁচলেন তিনি। তামিলনাড়ুর ওই পুলিশ কর্মীর সাহসিকতা ও উপস্থিত বুদ্ধিকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে।
বিবাহ বিচ্ছেদের পর দুই সন্তানকে নিয়ে মা রানির সঙ্গে থাকতেন অখিলা। হঠাৎই দিন কয়েক আগে সকালে তামিলনাড়ুর কুন্নুম পুলিশ ফাঁড়ির দ্বারস্থ হন রানি। অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে অখিলা নিখোঁজ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারেন, অখিলা এক যুবকের সঙ্গে থাকছেন। তাঁকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনে পুলিশ। মায়ের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনার কয়েক দিন পর ফের থানায় হাজির হন রানি। জানান, মেয়েকে দেওয়া ৮টি গয়না হারিয়ে গিয়েছে। চুরির অভিযোগ আনেন তিনি। এর পরই পুলিশ রানিদেবী, অখিলা দেবী ও সেই যুবক অমরাথিবনকে ডেকে পাঠায়। তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা শুরু করে পুলিশ। সেই সময় রানিদেবী এবং অমরাথিবনের মধ্য কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই সময় হঠাৎই অখিলদেবী নিজের স্কুটারের দিকে ছুটে যান। সেখান থেকে পেট্রল বের করে গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
ঘটনার আকস্মিকতায় বিস্মিত হয়ে যান উপস্থিত সকলে। ঠিক সেই সময় উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োগ করে ছুটে যান পুলিশকর্মী রীথাল। হাত থেকে পেট্রলের জার কেড়ে নিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তিনি। এমনকী, নিজের হাত পুড়িয়ে অখিলাকে রক্ষা করেন। চিকিৎসকরা জানান, অখিলাকে সঠিক সময় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে বলে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। যদিও পুলিশ কর্মী বলছেন, “হঠাৎ করেই সব ঘটে গেল। তবে আমি একা নই, ওঁর বাড়ির লোকও অখিলাকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.