সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জয়ললিতার মৃত্যু নিয়ে কাটাছেঁড়া অব্যাহত। এডিএমকে সুপ্রিমোর মৃত্যুর ৮ মাস পর বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন তৈরি করল তামিলনাড়ু সরকার। মাদ্রাজ হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মৃত্যুর তদন্ত করবেন। মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী জানিয়েছেন জয়ার পোয়েস গার্ডেনকে স্মৃতিসৌধ হিসাবে তুলে ধরা হবে।
৫ ডিসেম্বর, ২০১৬। প্রায় এক মাসের চিকিৎসার পর মৃত্যু হয়েছিল জয়ললিতার। তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক কি না, তা নিয়ে অনেক আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকী ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও সামনে এনেছিলেন কেউ কেউ। জয়ার মরদেহ কবর থেকে তুলে তদন্তর দাবি উঠছিল। লক্ষ লক্ষ রাজ্যবাসীর এই নিয়ে যাবতীয় ধোঁয়াশা, কৌতুহলের জবাব দিতে চলেছে তামিলনাড়ু সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী এই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এক সদস্যর এই তদন্ত কমিশনের শীর্ষে থাকবেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তবে কে এর দায়িত্বে থাকবেন তা অবশ্য জানা যায়নি। অভিযোগ, জয়ললিতার মৃত্যুর সময় অ্যাপোলো হাসপাতালে দলের কাউকে ঘেঁষতে দেননি শশীকলা। অসুস্থতা পর্ব থেকে শেষকৃত্য পর্যন্ত গোটা বিষয়টি কার্যত হাইজ্যাক করেছিলেন জয়ললিতার বান্ধবী। জয়ার প্রয়াণের পর পনিরসেলভম বা ওপিএস মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও তাঁকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অভিযোগ উঠেছিল শশীকলার বিরুদ্ধে। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শশীকে জেলে যেতে হয়। শশীকলার আর মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। তবে তিনি পনিরসেলভমকে কুর্সিতে বসিয়ে শ্রীঘরে যান।
তামিল রাজনীতির খবর, শশীর জেলযাত্রার পর দুই বিবদমান শিবির কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে। ওপিএস এবং ইপিএস ক্যাম্প গোপনে বৈঠকও করে। যেখানে ঠিক হয় দুই শিবির একসঙ্গে মিলে যাবে। বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বর উদ্যোগও নাকি এক্ষেত্রে কাজ করে। জয়ললিতা যাঁর ওপর সবথেকে বেশি ভরসা করতেন সেই ওপিএস তাঁর নেত্রীর মৃত্যুর ব্যাপারে তদন্ত দাবি করেছিলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা ঐক্যের পথে এগোতে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী সেই দাবিকে স্বীকৃতি দিলেন। জয়া অনুগামীদের কাছে পোয়েস গার্ডেনের গুরুত্ব অপরিসীম। জয়ললিতার জীবনের অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী এই অভিজাত ভবনটি। নেত্রীর বাসভবনকে এবার স্মৃতিসৌধ হিসাবে গড়ে তুলতে চাইছে তামিলনাড়ু সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.