সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন না সেনা জওয়ান ও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ থামছে, ততদিন বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলি বা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কোনও কথা সম্ভব নয়। একদিক থেকে পাথর ছোড়া হচ্ছে, অপরদিক থেকে গুলি চলছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও আলোচনাই সম্ভব নয়। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের এমনটাই জানালেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
গত কয়েকদিন ধরেই উপত্যকায় বেড়ে গিয়েছে হিংসার ঘটনা। বারবার সেনার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন কাশ্মীরের সাধারণ মানুষরা। বেড়ে গিয়েছে সেনাকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির প্রবণতা। উল্টোদিকে, সেনাও ছররা বন্দুকের পরিবর্তে গুলির ব্যবহার করায় প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ। এরপরেই এদিন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এদিন সারেন মুফতি।তারপরেই জানিয়ে দেন পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া অবধি সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে কোনও আলোচনা হবে না।
পরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আজ অনেক বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্খা, গত উপনির্বাচনগুলিতে ভোটদানের হার কম, এছাড়া পিডিপি-বিজেপি জোট নিয়ে দু’জনের কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানিয়েছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন এই নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু এটাও ঠিক বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই আলোচনা সম্ভব নয়। পাথর ছোঁড়া বা সেনার গুলি বন্ধ না হলে কথা বলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না।’ এরপরেই সিন্ধু জল চুক্তি নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার কথা জানান। বলেন, ‘সিন্ধু জল চুক্তির কারণে প্রতি বছর আমাদের ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তিনি দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।’
J&K CM Mehbooba Mufti speaks to media after meeting PM Modi https://t.co/mTXADyzUaD
— ANI (@ANI_news) April 24, 2017
কাশ্মীরি যুবকদের হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকের সাহায্যে উসকানির প্রসঙ্গে মুফতি বলেন, ‘পাথর ছোড়ার জন্য কাশ্মীরি যুবকদের জেনে-বুঝে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ আবার সরকারের উপর রাগের কারণেই এই পথ বেছে নিয়েছে। আমরা আগামীকাল এই সমস্ত কিছু নিয়ে বৈঠকে বসব।’ হুরিয়তের সঙ্গে বৈঠক করবেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘অটল বিহারী বাজপেয়ীজি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখনও হুরিয়ত এবং অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। উনি আলোচনা যে পর্যায়ে রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকেই আবার আমাদের শুরু করতে হবে। না হলে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি শোধরাবে না। প্রধানমন্ত্রীও চান বাজপেয়ীজি যে পথ দেখিয়েছিলেন সেটা অনুসরণ করতে। তবে তিনিও জানান আলোচনা তখনই সম্ভব যতক্ষণ না সংঘর্ষ থামছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.