সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাজমহল কোনও মন্দির নয়, এটি একটি স্মৃতিসৌধ। এই প্রথম সরকারিভাবে আদালতে একথা জানাল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় এই জরিপ সংস্থার মতে তাজমহলের জায়গায় কখনও কোনও মন্দির বা শিবলিঙ্গ ছিল না। নিম্ন আদালত কেন মন্দির তত্ত্ব মেনে নিয়েছিল তাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এএসআই।
[বাবা গো বাবা! যৌন কুকীর্তিতে কম যান না এই ‘বাবা’রাও]
তাজমহল নিয়ে জল্পনা থামাতে লোকসভায় বিবৃতি দিয়েছিল কেন্দ্র। ২০১৫ সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রক লোকসভায় জানিয়েছিল তাজমহলে কোনও মন্দিরের প্রমাণ মেলেনি। এই ঘটনার মাস সাতেক আগে আগ্রা জেলা আদালতে একটি মামলা রুজু হয়েছিল। যেখানে ৬ আইনজীবী দাবি করেছিলেন তাজমহল হল শিবের মন্দির, যাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় তেজো মহালয়া। হিন্দু পুণ্যার্থীদের অবশ্যই সেখানে ঢুকতে দেওয়া উচিত। আবেদনকারীদের এই আরজি মেনে নিয়েছিল আগ্রার জেলা আদালত। ওই নিম্ন আদালত এই নিয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে একটি নোটিস পাঠিয়েছিল। পাশাপাশি নোটিস দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং এএসআইয়ের কাছে। এই ব্যাপারে তারা কী বলতে চায় তা জানতে চাওয়া হয়।
[নাগাল্যান্ডের স্বাধীনতা চেয়ে তেরঙ্গায় আগুন তরুণীর, ভাইরাল ভিডিও]
বৃহস্পতিবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা তাদের জবাব দেয় আদালতকে। নিম্ন আদালত কীভাবে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারে তাকে চ্যালেঞ্জ জানায় এএসআই। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে তথ্য অনুযায়ী যমুনার তীরে যে মিনার তৈরি হয়েছিল তার নামকরণ হয় তাজমহল। যা পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য হিসাবে পরিচিত। ১৯০৪ সালে ব্রিটিশ জমানা থেকে রেকর্ড অনুযায়ী তাজমহল একটি সংরক্ষিত মিনার। এএসআইয়ের সংযোজন শিবলিঙ্গ বা কোনও মন্দিরের অস্তিত্ব ওই এলাকায় ছিল না। তেজো মহালায়া বলে কোনও মন্দির ছিল না সেখানে। কেন্দ্রীয় সংস্থা মনে করে, এই নিয়ে মিথ্যা এবং ভ্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাজমহল যে জায়গায় গড়ে উঠেছিল তা রাজা জয় সিংয়ের থেকে নিয়েছিলেন মোঘলরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.