ছবি: এনআইএ
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৬/১১ হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তাহাউর রানাকে (Tahawwur Rana) ১৮ দিনের হেফাজতে পেয়েছে এনআইএ। তাকে রাখা হয়েছে ১৪x১৪ ফুটের সেলে। রাখা হয়েছে ‘সুইসাইড ওয়াচে’। এমনই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারে সে। তাই এই বাড়তি সতর্কতা।
সূত্রের দাবি, এনআইএ সদর দপ্তরের একতলার ওই সেলে কেবলমাত্র একটা কলমই দেওয়া হয়েছে রানাকে। এবং সেটাও ‘সফট টিপ’ পেন। অর্থাৎ কোনওভাবেই ওই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি নিজের যেন কোনও ক্ষতি করার চেষ্টা করতে না পারে, এটাই লক্ষ্য। আর সেই কারণেই ৬৪ বছরের রানাকে সিসিটিভির নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষীরাও নিয়মিত সেখানে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন। সব মিলিয়ে বলা চলে একেবারে ‘তীক্ষ্ণ’ দৃষ্টি রাখা হয়েছে তার দিকে। মুম্বই হামলার মূল চক্রীর থেকে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। তাই তার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ঝুঁকিও নিতে নারাজ গোয়েন্দারা।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ রানাকে নিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিশেষ বিমান। রানাকে ভারতে ফেরানোর পরে একটি বিবৃতি দিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, ২০০৮ সালের ওই জঙ্গি হানার মূল ষড়যন্ত্রী ছিলেন রানা! রাতের দিকে পাটিয়ালা হাউসের বিশেষ এনআইএ আদালতে তোলা হয় পাক বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিককে। শুনানিতে এনআইএ জানায়, মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রের রহস্য উন্মোচনের জন্য রানাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ২০ দিনের হেফাজত চেয়েছিল। তবে আদালত ১৮ দিনের হেফজত মঞ্জুর করেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, ওই জঙ্গিকে আইনি সহায়তা দিয়েছে দিল্লির লিগ্যাল সার্ভিস অথোরিটির আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, এই হেফাজতের সময় রানার স্বাস্থ্যের যাতে অবনতি না হয়, সেটা খেয়াল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এনআইএকে। তাকে সমস্তরকম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রানার একটি ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। ছবিটি পিছন থেকে তোলা। সেখানে এনআইএ আধিকারিকদের সঙ্গে তাকে দেখা যাচ্ছে। মুখ বোঝা না গেলেও দীর্ঘ সাদা দাড়ি ও সাদা চুল পরিষ্কার দেখা গিয়েছে। পরনে খয়েরি রঙের পোশাক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.