সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর ১০ জন মহিলাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। ‘ক্রেতা’ ভদ্রলোক যাকেই চাইবেন, সেই আজ রাতে হবে তাঁর অভিসারের সঙ্গিনী। কিন্তু হঠাৎই অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স! রাতারাতি সেখানে হাজির পুলিশ! সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার দিল্লির ওই মধুচক্রের সকলেই। বাদ যায়নি মধুচক্রের চাঁইরাও। এভাবেই রাজধানীর (Delhi) বুকে রমরমিয়ে চলতে থাকা এক মধুচক্রে আসরে পুলিশের হানা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়।
ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে মহম্মদ অরূপ, চান্দে সাহিনি, আলি শের, মেহবুব আহমেদ নামের চার অভিযুক্তকে। তদন্ত শুরু হতেই পুলিশের জানতে পারে, জুমায়েভা আজিজা ও মেহবুব দু’জন স্বামী-স্ত্রী। এই তুর্কি দম্পতিই চক্রের পাণ্ডা। আজিজা এখনও পলাতক বলে জানা গিয়েছে।
কীভাবে ধরা পড়ল এই মধুচক্র? পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। সেই খবর অনুযায়ী, এক কনস্টেবল ছদ্মবেশে ‘ক্রেতা’ সেজে সেখানে যান। তাঁর সঙ্গে দরদস্তুর সব হয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে নিয়ে আসা হয় মালব্য নগরে একটি বাড়িতে। সেখানে পরপর একই সারিতে দাঁড়ানো ১০ জন মহিলার মধ্যে একজনকে বেছে নিতে বলা হয় ওই পুলিশকর্মীকে। মহিলাদের মধ্যে বিদেশিনীও ছিল।
পরে পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে সকলকে গ্রেপ্তার করে। বিদেশি ও বিদেশিনীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট, ভিসা চাওয়া হয়। কিন্তু কেউই কোনও আইনি কাগজপত্র দিতে পারেনি। জানা গিয়েছে, আজিজা ও আহমেদই এই মধুচক্রের মূল পাণ্ডা। জানা গিয়েছে, আলি শের নামের উজবেক ব্যক্তিটি বিদেশিনীদের টোপ দেখিয়ে ভারতে নিয়ে আসতেন। তারপর তাদের তুলে দেওয়া হত আজিজা ও মেহবুবের হাতে। তবে সকলে ধরা পড়লেও আজিজা এখনও পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে থাকতে পারে বলেই মনে করছে দিল্লি পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.