Advertisement
Advertisement
হুরিয়ত ছাড়লেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গিলানি

আচমকা হুরিয়ত ছাড়লেন কাশ্মীরের প্রবীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গিলানি, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

গিলানির এই ঘোষণা কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতিতে বড় ধাক্কা, মত সংশ্লিষ্ট মহলের।

Syed Ali Shah Geelani quits separatist organisation Hurriyat Conference
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 29, 2020 1:55 pm
  • Updated:June 29, 2020 2:46 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্স ছাড়লেন বর্ষীয়ান নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি (Syed Ali Shah Geelani)।  হুরিয়তের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি ঘোষণা করলেন ৯০ বছরের এই নেতা। অডিও বার্তায় জানালেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি সংগঠনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন এবং দলের সঙ্গে আর তাঁর কোনও যোগাযোগ থাকছে না। বর্ষীয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার আচমকা এই ঘোষণায় অবাক সংগঠনের অনেকেই।

Geelani-house-arrest
গৃহবন্দি গিলানি

নয়ের দশক থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্সকে (Hurriyat Conference) নেতৃত্ব দিয়ে গিয়েছেন পাকপন্থী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। পরবর্তী সময়ে হুরিয়তের কট্টরবাদী আদর্শকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে উঠে আসেন মধ্যপন্থায় বিশ্বাসী তরুণ নেতা মিরওয়াইজ ওমর ফারুক। তৈরি হয় মতবিরোধ। ২০০৪ সালে তেহরিক-ই-হুরিয়ত নামে একটি সংগঠন চালু করেন গিলানি। তবে বছর দুই আগে সেই সংগঠনের ভার ছেড়ে হুরিয়তেই পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন। আজীবন চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয় তাঁকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আশা জাগাচ্ছেন কোভিডজয়ীরা, অসমে সুস্থতার হার ৭১ শতাংশ]

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে গৃহবন্দি গিলানি-সহ কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। গত আগস্টে উপত্যকা থেকে বিশেষ মর্যাদা বা ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের পর তা আরও কড়াকড়ি হয়ে যায়। দীর্ঘ গৃহবন্দি দশায় থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রবীণ গিলানি। সেই কারণে সংগঠন থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি, এমনই মত হুরিয়তের একাংশের। অডিও বার্তায় অবশ্য গিলানি কারণ হিসেবে কোনও বিষয়কে নির্দিষ্ট করেননি। তিনি স্রেফ বলেছেন, ”হুরিয়ত কনফারেন্সের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি সংগঠনের সঙ্গে নিজের সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করছি। সংগঠনের সংশ্লিষ্ট নেতাদের এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি।”

[আরও পড়ুন: মাঝে একদিনের ‘বিরতি’, সোমবার ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম]

গিলানির আচমকা এই ঘোষণা কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতিতে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের একাংশের ধারণা, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার যে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে গত আগস্টে, তার বিরুদ্ধে তেমন কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারায় গিলানিকে সংগঠনের ভিতরে এবং বাইরে বেশ চাপের মুখে পড়তে হয়েছে। তাই হয়ত সংগঠন ত্যাগের মতো বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। গিলানি পরবর্তী হুরিয়তের হাল কে ধরবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement