সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালকে হেনস্তাকাণ্ডে আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কেজরির আপ্তসহায়ক বৈভব কুমার। সোমবার সেই মামলায় শুনানিতে জামিনের বিরোধিতায় সরব হলেন স্বাতী। বৈভবের জামিন তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য বিপদের কারণ বলে দাবি করে আদালতে কাঁদতে দেখা গেল আপের রাজ্যসভার সাংসদকে।
এদিন দিল্লি আদালতে বৈভবের জামিনের আবেদনের শুনানি চলাকালীন ভেঙে পড়েন স্বাতী মালিওয়াল (Swati Maliwal)। রীতিমতো কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। স্বাতী বলেন, “আমি পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করার পর একাধিকবার আপের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে আমায় বিজেপির এজেন্ট বলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বৈভবকে নিয়ে মুম্বই, লখনউ চলে যান। আমাকে নিয়ে ট্রোলিং শুরু করে পুরো দল। দলের নেতাদের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় স্বাতীকে সমর্থন করলে শাস্তি দেওয়া হবে।” এরপরই তিনি বলেন, “বৈভব কোনও সাধারণ লোক নন। উনি মুখ্যমন্ত্রীর আপ্তসহায়ক হওয়ায় বিশেষ সুবিধাভোগ করেন, যেটা আপের কোনও মন্ত্রীও পান না। যদি উনি জামিন মুক্তি পান তাহলে তা আমার ও আমার পরিবারের জন্য অত্যন্ত বিপদের।”
অন্যদিকে জামিনের পক্ষে বৈভবের আইনজীবী বলেন, সেদিন বিনা অনুমতিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকেছিলেন স্বাতী। রীতিমতো জোর করে ঘরের ড্রয়িংরুমে ঢুকে পড়েন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কি এভাবে ঢোকা যায়? সাংসদ হওয়ার অর্থ এটা নয় যে যা খুশি করা যায়। আইনজীবী আরও বলেন, কেন তিনি এসেছিলেন। নিশ্চয়ই কিছু ভেবে জোর করে ঘরে ঢুকেছিলেন তিনি। যখন ঘটনা ঘটে তখন সেখানে প্রোটোকল অফিসারের পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষী উপস্থিত ছিলেন। স্বাতী অভিযোগ করেছেন ৭-৮ বার মারা হয়েছে। আধিকারিকদের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এমন ঘটনা কী সম্ভব?
পাশাপাশি ঘটনার দিন কেন মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়নি সে প্রশ্নও তোলা হয়। আইনজীবী বলেন, ‘যদি মারধর করা হয় তাহলে সেদিনই মেডিক্যাল টেস্ট করানো যেত। আশেপাশে একাধিক সরকারি হাসপাতাল ছিল। তা না করে কেন ঘটনার ৩-৪ দিন পর এইমস হাসপাতালে টেস্ট করানো হল? গোটা বিষয়টা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন আইনজীবী।’ দু’তরফের বক্তব্য শোনার পর মামলার রায় সুরক্ষিত রাখেন বিচারক। বিকেল ৪ টে নাগাদ জামিনের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.