Advertisement
Advertisement

Breaking News

জেএনইউ

লজ্জা! জেএনইউ ক্যাম্পাসে ভাঙল বিবেকানন্দের মূর্তি, লেখা হল অশ্লীল কথা

বহিরাগতদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে জেএনইউ ছাত্র সংসদ।

Swami Vivekananda's statue defaced at JNU campus
Published by: Souptik Banerjee
  • Posted:November 14, 2019 5:55 pm
  • Updated:November 14, 2019 6:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মনীষীর মূর্তি ভাঙার মতো লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী রইল দেশ। তাও আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজের পর এবারের ঘটনাস্থল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সেখানে ভেঙে দেওয়া হল বিবেকানন্দের মূর্তি। স্বামীজির মূর্তি কে বা কারা ভেঙেছে, তা এখনও জানা যায়নি।

শুধু মূর্তি ভাঙাই নয়, মূর্তির পাদদেশে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় বেশ কিছু মন্তব্য লেখা হয়েছে। ক্যাম্পাসের ভিতরে বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। নিন্দায় সরব শিক্ষা মহলও। জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত স্বামীর ওই মূর্তিটি কিছুদিন বাদেই উন্মোচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সেটি ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ভাঙা মূর্তির ভিডিও রেকর্ডিং করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। মূর্তির কিছু ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছে বিবেকানন্দের মূর্তি।

Advertisement

[আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রে জোট ভাঙার জন্য অমিত শাহকে দায়ী করল শিব সেনা]

জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদ জানিয়েছে, বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙাকে তাঁরা সমর্থন করেন না। তাঁরা জানিয়েছেন, সমস্যা হলে তা তাঁরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাসী। ছাত্র  সংসদের দাবি, বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙার মতো অভব্য কাজ জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা করতে পারে না। তাঁরা এও জানাচ্ছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কোনও ধরনের গুন্ডামিকে সমর্থনও করে না। এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য বহিরাগতদেরই দায়ী করা হয়েছে।  তদন্তের দাবি জানিয়েছে তাঁরা। এদিকে পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি, হোস্টেল ফি কমানোর দাবিতে উত্তাল হয়েছিল জেনইউ ক্যাম্পাস। কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় সোমবার ক্যাম্পাসের বাইরে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ছাত্ররা। ওই দিন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অনুষ্ঠানও। তার মাঝেই ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয় দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাইরে থাকা আন্দোলনকারীদের সমাবর্তন স্থান থেকে ৮০০ মিটার দূরে আটকে দেয় প্রশাসন।

সেই সময় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুও। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা। দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা ঘেরাও তুলবেন না বলে জানিয়েছিল। বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে। জলকামান চালানো হয়। কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন দিল্লি পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকও। আন্দোলনের চাপে বৃহস্পতিবার ফি কমাতে বাধ্য হয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক। কিন্তু তারপর এমন লজ্জাজনক ঘটনা জেএনইউ ক্যাম্পাসে কীভাবে ঘটল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে  সব মহলে। শিক্ষাবিদরা ঘটনার তীব্র সমালোচনায় মুখর।

[আরও পড়ুন : বেনজির! বিগত ৬ বছরে কাজ হারিয়েছেন ৯ লক্ষ মানুষ]

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, মে মাসে কলকাতায় প্রচার করতে এসেছিলেন অমিত শাহ। তাঁর রোড শো ঘিরে কলেজ স্ট্রিটে অশান্তি তৈরি হয়। কিন্তু তা তীব্র আকার নেয় বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে গিয়ে। বিশৃঙ্খলার জেরে কলেজের ভিতরে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। সেই ঘটনায় জল গড়িয়েছিল বহু দূর। মাস ছয়েক পর জেএনইউয়ে একই ঘটনায় স্বভাবতই দেশজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement