সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মন্তব্যে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশ যখন অগ্নিগর্ভ, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর রুদ্ধদ্বার বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
একদিন আগেই বাংলাদেশের সমস্যা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর এক মন্তব্য বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, “হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পর এ বার বাংলাদেশ থেকে এক কোটি হিন্দু বাংলায় আসবেন! তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে বলব, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলুন।” বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সূত্রের খবর, আজ বিদেশমন্ত্রকের ডাকা সর্বদল বৈঠকে শুভেন্দুর মন্তব্য নিয়ে বিদেশমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। ডেরেকের দাবি, এই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতার মন্তব্য সংযত হওয়া উচিত। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র তৃণমূলকে আশ্বস্ত করেছেন বলেও খবর।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা দিল্লি গিয়ে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন তাঁরা। পরে ওই বৈঠক প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “অমিত শাহর সঙ্গে কাল ফোন করে সময় চেয়েছিলাম। প্রায় চল্লিশ মিনিট কথা হয়েছে। অমিত শাহ যেহেতু সিকিউরিটি কাউন্সিলের সদস্য, আমি তাঁর কাছে অনুরোধ করেছি যাতে বাংলাদেশের হিন্দু এবং হিন্দু মন্দিরের যেন আর কোনও ক্ষতি না হয়, সেটা দেখতে। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।” বিরোধী দলনেতার সংযোজন,”আমার মা নিজে বরিশাল থেকে এক কাপড়ে চলে এসেছিলেন। যন্ত্রণাটা আমার ভিতরে রয়েছে। তাই উদ্বেগটা ছিল। উদ্বেগটা নিরসনের জন্য এসেছিলাম। সেটা নিরসন হয়েছে।”
এদিন দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও দেখা করেছেন শুভেন্দু। সেই বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষর সঙ্গে নির্বাচনের পর দেখা হয়নি। ফোনে কথা হয়েছিল। উনি আমাকে কিছু কাজ দিয়েছিলেন। সেটা নিয়ে কথা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.