ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকা অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়েছে। স্রেফ এই সন্দেহে তাঁকে খুন করল প্রেমিক। এই ধরনের অপরাধ বেনজির নয়। কিন্তু এরপর সেই প্রেমিক আরও এমন সব ‘কীর্তি’ করেছে, যা একেবারেই অভাবনীয়। প্রেমিকার মাকেও শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার পর তাঁর তিন মেয়েরও শ্লীলতাহানি (Assault) করে অভিযুক্ত। তিনটি মেয়েই নাবালিকা। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল? স্বামী মারা যাওয়ার পরে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) সরলা নামের ওই মহিলা তাঁর মা ও তিন মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। এর মধ্যেই তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় অভিযুক্ত মৌলালির। তাঁরা লিভ ইন শুরু করেন। পরে সরলার পরিবারকে নিজের বাড়িতে এনে রাখে অভিযুক্ত। কিছুদিন যেতে না যেতেই মৌলালির সন্দেহ হতে তাকে, সরলার জীবনে অন্য কেউ এসেছে। এই নিয়ে দু’জনের প্রায়ই ঝগড়া হত। অভিযোগ, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাগের মাথায় সরলাকে খুন করে দেহ লুকিয়ে ফেলে মৌলালি। সরলার মা মেয়ের খোঁজ শুরু করলে ১ অক্টোবর তাঁকেও মেরে ফেলে অভিযুক্ত। গলা টিপে ওই মহিলাকে খুন করে একটি পুকুরে ফেলে দেয় দেহ। পরে তিন নাবালিকাকে নিয়ে কর্ণাটকে চলে যায় মৌলালি। তারপর সেখানেই লাগাতার শ্লীলতাহানি করতে থাকে তাদের।
গত সপ্তাহে সরলারই গ্রামের এক মহিলা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তখনই সবটা স্পষ্ট হয়ে যায়। গতকাল সরলা ও তাঁর মায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর তারপরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৌলালিকে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে মৌলালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শ্লীলতাহানির শিকার সরলার তিন নাবালিকা কন্যাকে সরকারি হোমে পাঠানো হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.