Advertisement
Advertisement
আত্মসমর্পণ তাহির হুসেনের

আত্মসমর্পণের আরজি খারিজ আদালতে, দিল্লির হিংসায় অভিযুক্ত তাহির হোসেন গ্রেপ্তার

তাঁর বিরুদ্ধে আইবি আধিকারিককে খুনের অভিযোগ রয়েছে।

Suspended AAP Councillor arrested after dismissal his surrender plea

ফাইল ফটো

Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 5, 2020 3:15 pm
  • Updated:March 5, 2020 3:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতে আত্মসমর্পণের বহিষ্কৃত আপ কাউন্সিলর তাহির হোসেন -এর আত্মসমর্পণের আরজি খারিজ করল দিল্লির আদালত। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশ। দিল্লির হিংসা চলাকালীন তার বিরুদ্ধে আইবি আধিকারিক অঙ্কিত শর্মার খুনের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগও দায়ের হয় পুলিশে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তার হদিশ মিলছিল না। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আগাম জামিন চেয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু তাকে আগাম জামিন দিতে রাজি হননি বিচারক। এরপরই বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি।

বহিষ্কৃত আপ কাউন্সিলর তাহির হোসেনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন হত আইবি আধিকারিক অঙ্কিত শর্মার বাবা । প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৬৫ ধারা (অপহরণ) এবং ৩০২ ধারা (খুন)-এর মামলা রুজু হয়েছিল। এরপর থেকেই তার খোঁজ শুরু করে পুলিশ। কিন্তু সে আত্মগোপন করেছিলেন। ইতিমধ্যে তাকে দল থেকে সাসপেন্ড করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর বৃহস্পতিবার বহিষ্কৃত আপ কাউন্সিলর তাঁর আইনজীবী মুকেশ কালিয়ার মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণের আরজি জমা করেন। পরে তার আত্মসমর্পণের আরজি খারিজ করে দেন বিচারক। বৃহস্পতিবারই শারীরিক পরীক্ষার পর তাকে কারকোডুমা আদালতে পেশ করা হবে।

[আরও পড়ুন : নির্ভয়া কাণ্ড: ২০ মার্চ চার দোষীর ফাঁসির নির্দেশ আদালতের]

 সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে হিংসা উপদ্রুত খাজুরি খাস এলাকায় আপ কাউন্সিলর তাহির হোসেনের বাড়ির ছাদে সার দিয়ে রাখা রয়েছে পেট্রল বোমা। আর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির ছাদে লাঠি হাতে পায়চারি করছেন কয়েকজন। তাদের মধ্যে তাহিরও রয়েছেন। 

[আরও পড়ুন : এবার কোপ ইপিএফে, একধাক্কায় অনেকটা কমল সুদের হার]

তাহির বলেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। নোংরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির খেলা খেলছে কিছু লোক। উন্মত্ত জনতা আমার বাড়ি-অফিস ঘিরে ফেলে। খবর দেওয়ার অনেক পরে পুলিশ এসে পৌঁছয়। তারা এসে বাড়ি থেকে আমাকে এবং আমার পরিবারকে বের করে নিয়ে যায়। তারপর বাড়ি বন্ধ করে দেয়। আমি পুলিশকে বলেছিলাম, বাড়ি যেন ফাঁকা না রাখে তারা। একবার পুলিশ সরে গেলেই দাঙ্গাবাজরা বাড়ি দখল করে নিতে পারে। আমার আশঙ্কাই সত্যি হল।’ উল্লেখ্য, এরপরই ওই নেতার বাড়ির অদূরেই নর্দমা থেকে আইবি আধিকারিকের দেহ উদ্ধার হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement