সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যবয়সী এক মহিলার মৃত্যুর পিছনে কালো জাদুর প্রভাব রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মৃতার পরিবারের লোকজন। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মহিলার জ্বলন্ত চিতায় ছুঁড়ে ফেলা হল অভিযুক্ত এক অটোচালককে। এই ঘটনার জেরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন তিনি। মধ্যযুগীয় এই বর্বরতার এই নিদর্শন দেখতে পাওয়া গিয়েছে, তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের শামিরপেট এলাকার আদর্শপল্লীতে। অটোচালকের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে
মৃত মহিলার দুই দেওর জি বলরাম ও জি কৃষ্ণাইয়া-সহ বি শ্রীরামুলু ও জি নরসিমা নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[ আরও পড়ুন: ‘মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী, ওঁকে সম্মান করা উচিত’, রাহুলের উলটো সুর থারুরের ]
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার রাতে হায়দরাবাদ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে আর্দশপল্লী গ্রামে মৃত্যু হয় ৪৫ বছরের গয়ারা লক্ষ্মী নামে এক মহিলার। মৃতার পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, কালো জাদুর কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে৷ তাঁদের অভিযোগের তির ছিল একই গ্রামের বাসিন্দা বৌনি অঞ্জনিয়ুলুর দিকে। পেশায় অটোচালক ২৬ বছরের ওই যুবকই মহিলার উপর কালো জাদু করেছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা৷ সূত্রের খবর, বুধবার রাতে স্থানীয় শ্মশানে যখন লক্ষ্মীর
শেষকৃত্য চলছিল, সেসময় বৌনিকে বলপূর্বক তুলে আনে মৃতার পরিবারের লোকজন৷ এরপর জ্বলন্ত চিতায় তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
[ আরও পড়ুন: কমল কর্পোরেট করের হার, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় চাঙ্গা শেয়ার বাজার ]
জানা গিয়েছে, এই ঘনটার কয়েক ঘণ্টা পর মৃতার পরিবারের এক আত্মীয় জি নরসিমা, তাঁদের গ্রামপ্রধানের স্বামীকে বিষয়টি জানায়৷ এবং কালো জাদু করার অভিযোগে অটোচালককে যে তারা চিতায় ফেলে দিয়েছে, তা জানায়৷ ঘটনা জানার পরই হতবম্ভ হয়ে যায় গ্রামপ্রধানের স্বামী বি নরসিমা৷ এবং তিনিই পুলিশকে খবর দেন৷ রাত দশটা নাগাদ শ্মশানে গিয়ে তখনও পুলিশ বৌনি অঞ্জনিয়ুলুরের দেহের কিছু অংশ জ্বলতে দেখে৷ কোনওক্রমে সেই চিতা থেকে অটোচালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু তাতেও ওই ব্যক্তিকে প্রাণে বাঁচানো যায়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর৷ পুলিশ জানিয়েছে, মৃত অটোচালকের পরিবারের অভিযোগের
ভিত্তিতে অভিযুক্তদের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এবং পরবর্তী তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.