সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলাম সীমান্তে ভারত-চিনের মধ্যে চরমে উত্তেজনা। প্রায় প্রতিদিনই যুদ্ধের হুঙ্কার দিচ্ছে লালফৌজ। পালটা তোপ দাগছে দিল্লিও। দেশাত্মবোধের প্রবল ঢেউ উঠেছে দেশ জুড়ে। ৬২-র বদলা নিয়ে কলঙ্ক মুছেতে পারবে মোদি সরকারই, এরকমটাই মনে করছেন অনেকে। এমনকি চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে সরকারের পাশেই থাকার আশ্বাস দিয়েছে একাধিক বিরোধী দল। তবে এই ডামাডোলে ক্রমশ প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলছে সনিয়া গান্ধীর ‘দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি’। তাই প্রায় মরিয়া হয়েই অস্তিত্ব জাহির করতে চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে ভারতের ‘হাল-হকিকতের’ খোঁজ নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই প্রসঙ্গেই এবার তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করার পরিবর্তে ডোকলামের পরিস্থিতি জানতে চিনের কাছে যাচ্ছেন রাহুল । তাঁর এই পদক্ষেপ খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বৃহস্পতিবার এভাবেই কংগ্রেসের যুবরাজের উপর তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন সুষমা।
[ভারতীয় সেনার থেকে তথ্য পেতে মধুচক্রের ফাঁদ চিনের]
জুলাই মাসে দিল্লিতে চিনা রাষ্ট্রদূত লৌ ঝাউর সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের উপ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। খবরটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বেশ বিপাকে পড়ে কংগ্রেস। প্রথমদিকে সরাসরি অস্বীকার করলেও, চাপের মুখে রাহুল-ঝাউ মোলাকাতের কথা স্বীকার করে নেয় দল। সাফাই গাওয়ার সুরে কং মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছিলেন, শুধু চিন নয় ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও দেখা করেছেন রাহুল। এটি একটি সৌজন্যসাক্ষাৎ, এতে বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ার মতো কোনও ব্যাপার নেই। যদিও তাঁর সাফাইয়ে থামেনি বিতর্ক। আর তাই নিয়েই রাহুলকে খোঁচা বিদেশমন্ত্রীর। সরকার নয় চিনের সঙ্গেই আলোচনা করা শ্রেয় মনে করছেন দেশের বৃহত্তম বিরোধী দলের এক নেতা। রাহুলের নাম না করে এভাবেই তাঁকে কটাক্ষ করলেন সুষমা। তাঁর বয়ানের তীব্র প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস।
[প্লাবিত অসম পরিদর্শনে রাহুল, উঠছে রাজনীতির অভিযোগ]
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিদেশনীতি বিফল বলেই উঠছে অভিযোগ। প্রায় ৬০ বারেরও বেশি বিদেশসফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ফল শূন্য। সরকারের পাকিস্তান নীতি দিশাহীন। এমন অভিযোগে সরব বিরোধীরা। এদিন ওই অভিযোগের জবাবও দিলেন সুষমা। তিনি জানিয়েছেন পাকিস্তান নিয়ে সরকারের মত স্পষ্ট। সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়া বন্ধ করলেই ইসলামাবাদের সঙ্গে আলোচনা চালানো হবে। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে ভারতের। আমেরিকা ও ইজরায়েলের সঙ্গে ক্রমশ বাড়ছে সহযোগিতা। তবে হামবানটোটা, কলম্বো, চট্টগ্রাম ও গদর বন্দর চিনের হাতে চলে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বে পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারের বিফলতা। ওই সরকারের আমলেই ওই দেশগুলিতে চিনের প্রভাব বৃদ্ধি পায় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.