সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার ত্রাতা হিসেবে দেখা দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এক পাকিস্তানি নাগরিকের সঙ্গে বিয়ে হওয়া ভারতীয় মহিলার সাহায্যে এগিয়ে এলেন তিনি। কয়েকদিন আগে মহম্মাদিয়া বেগম নামে ওই মহিলার বাবা মহম্মদ আকবর বিদেশমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চান। অভিযোগ করেন, মেয়ে ভারতে আসতে চাইলেও জোর করে তাঁকে আটকে রেখেছে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনাটির কথা জানতে পেরেই পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসকে মহিলাটির সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সুস্থমতো ভারতে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। পরে টুইট করে জানান, মেয়েটির বাবার পাঠানো ইউটিউব মেসেজ তিনি পেয়েছেন। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। বলেন, ‘আমরা মৌখিক ভাবে মহম্মাদিয়া বেগমের নিরাপত্তা এবং তাঁকে সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আর্জি জানিয়েছি। ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে দেখাও করেছেন। তাঁদেরকে ভারতে আসতে চান বলেও জানিয়েছেন মহম্মাদিয়া।’ তবে এর মধ্যে সমস্যাও রয়েছে। গত বছরই মহম্মাদিয়ার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এক্ষেত্রেও এগিয়ে আসেন সুষমা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই মহিলার পাসপোর্টের নবীকরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর আগেও জানুয়ারি মাসে ই-মেল মারফত সুষমার কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন মহম্মাদিয়ার বাবা আকবর।
I received a Youtube message from Shri Mohammad Akbar that his daughter Mohammadia Begum an, Indian national was married in Pakistan
— Sushma Swaraj (@SushmaSwaraj) March 20, 2017
and was being ill-treated by her inlaws Our mission sent a Note Verbale requesting the safety, security and well-being of Mohammadia Begum.
— Sushma Swaraj (@SushmaSwaraj) March 20, 2017
Our High Commission officials met Mohammadia Begum and she expressed her desire to return to India.
— Sushma Swaraj (@SushmaSwaraj) March 20, 2017
I have asked Indian High Commission to renew her Indian passport and facilitate her return to India.
— Sushma Swaraj (@SushmaSwaraj) March 20, 2017
মহম্মাদিয়ার মা হাজারা বেগম জানিয়েছেন মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন তিনি। ফোনে মা’কে মহম্মাদিয়া বলেছেন, ‘স্বামী ইউনিস এবং শ্বশুরবাড়ির অন্যান্যরা তাঁর ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে।’ এমনকী ইউনিস হুমকি দিয়েছে মহম্মাদিয়াকে জীবিত অবস্থায় ভারতে ফিরতে দেবে না। পাশাপাশি পাঁচ ছেলেমেয়েকেও মায়ের থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। কারণ ইউনিসের মতে, মহম্মাদিয়া হিন্দুস্তানি এবং সব হিন্দুস্তানিই হিন্দু। শুধু তাই নয়, দূতাবাসের আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর একটি ঘরে তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে হাজারা বেগম আর্জি জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হোক। তিনি বলেন, ‘মেয়েকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। তাঁর সন্তানরা যদি সঙ্গে আসতে চায়, আসতে পারে।’ তবে যতদিন না পর্যন্ত ভারতীয় দূতাবাস সাহায্য না করছে, ততদিন মেয়েকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন তিনি।
পেশায় সাইকেল মেকানিক মহম্মদ আকবর জানিয়েছেন, এর আগে ১৯৯৬ সালে বিয়ে হয় মহম্মাদিয়া এবং ইউনিসের। তাঁর অভিযোগ, প্রথমে নিজের পরিচয় লুকিয়ে রেখেছিল ইউনিস। বলেছিল সে নাকি ওমানের বাসিন্দা। তাই টেলিফোনে মেয়ের বিয়ে দেন তিনি। ম্যাসকটে গিয়ে সংসারও করেন মহম্মাদিয়া। কিন্তু ১২ বছর পর চাকরি হারান ইউনিস। তখনই সে স্বীকার করে আসলে সে পাকিস্তানের বাসিন্দা। ওমানেই পাঁচ সন্তানের মধ্যে চারজনের জন্ম হয়েছিল। পরে পাকিস্তানে সবচেয়ে ছোট ছেলের জন্ম দেন মহম্মাদিয়া। বর্তমানে সবচেয়ে ছোট ছেলের বয়স ৯ বছর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.