Advertisement
Advertisement
Sushil Modi

কেন বিহারের মন্ত্রিসভায় নেই সুশীল মোদি? চাঞ্চল্যকর দাবি আরজেডি নেতার

বিজেপি নেতাকে নিয়ে মুখ খুললেন নীতীশ কুমারও।

Bengali news: Sushil Modi didn’t allow other BJP leaders to rise, so was cut off by party: RJD leader | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:November 17, 2020 2:47 pm
  • Updated:November 17, 2020 2:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে সরকার গঠন হয়ে গেলেও সুশীল মোদিকে (Sushil Modi) ঘিরে বিতর্ক থামছেই না। সেই বিতর্কে নতুন করে ঘি ঢালল আরজেডি (RJD) নেতা শিবানন্দ তিওয়ারির মন্তব্য। তাঁর কথায়, “অন্য কোনও বিজেপি নেতাকে উঠতে দিতেন না সুশীল। তাই এবার তাঁকে ছেঁটে ফেলেছে বিজেপি।” 

বিহারের পূর্বতন এনডিএ (NDA) সরকারের নীতীশ কুমারের ডেপুটি ছিলেন সুশীল মোদি। অথচ এবার বিহার (Bihar) ক্যাবিনেটেই নেই তিনি। এনডিএর বৈঠকের পরই সুশীল মোদির টুইটার থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদের ট্যাগ সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি নিজেও টুইট করে জানান, “দল যা দায়িত্ব দেবে তিনি তাই মাথা পেতে নেবেন।”  একধাক্কায় অনেকটাই গুরুত্ব কমেছে সুশীল মোদির। কিন্ত কেন হল এমনটা, তা নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এটেঁছে বিজেপি (BJP)।

Advertisement

সুশীল মোদির ডানা ছাঁটার বিষয়ে মঙ্গলবার মুখ খুললেন আরজেডি নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, “সুশীল মোদি বিজেপি নেতার ভূমিকা পালনের বদলে নীতীশের সহকারীর ভূমিকা বেশি পালন করছিলেন। আমার মনে হয়, তাই এবার বিজেপি তাঁকে ছেঁটে ফেলেছে।” শিবানন্দের আরও অভিযোগ, “সুশীল অন্য কোনও বিজেপি নেতাকে উঠতে দিতেন না। বরং নিজে সব বিষয়ে মন্তব্য করতেন। টেলিভিশন, সংবাদপত্র মুখ না দেখিয়ে থাকতেন পারতেন না।” এরপরই সুর নরম করে লালুপ্রসাদ যাদবের দলের নেতার মন্তব্য, “ওঁর সঙ্গে আমার কোনও শত্রুতা নেই। ও আমার ছোট ভাইয়ের মতো। কিন্তু ওঁর ব্যক্তিত্বে সেই গভীরতা নেই। তাই বিজেপি রাজ্য ক্যাবিনেটে সুশীলকে রাখেনি।”  উল্লেখ্য, এই আরজেডি নেতাই মহাজোটের হারের দায় রাহুল গান্ধীর ঘাড়ে চাপিয়েছিলেন। 

উল্লেখ্য, সোমবার নীতীশ কুমারের শপথগ্রহণে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই রাজভবন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। অথচ অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ, নীতীশ কুমার সকলে বেশকিছুক্ষণ রাজভবনে ছিলেন। এদিন সুশীল মোদির পরবর্তী ভূমিকা সম্পর্কে বিহার নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীশকে জিজ্ঞেস করা হলে তিন বলেন, “সুশীল মোদি দলের সম্পদ। তাঁকে আরও বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

সূত্রের খবর, বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর মন রাখতে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব দেওয়া হতে পারে। নীতীশ কুমারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে জবাব দেন, “তাঁর অভাব বোধ করব। তবে বিজেপি কেন তাঁকে পদ দিল না, সেটা তাঁরাই বলেতে পারবে।” পাটনার মসনদ দখল হয়ে গেলেও সুশীল মোদি পর্বে এখনই যে পূর্ণচ্ছেদ পড়ছে না, তা পরিষ্কার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement