ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহেই সংসদে পাশ হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে তা এখন আইন। বলবৎ আজ থেকেই। কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগে এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। আগামী ১৬ এপ্রিল মামলার শুনানি। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম দরবারে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে কেন্দ্র। অর্থাৎ কেন্দ্র সরকারের মতামত না শুনেই যেন কোনও রায় না দেয় শীর্ষ আদালত, এই আপিল করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে মোট ১৫টি পিটিশন দাখিল হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এই মুহূর্তে ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে দেশজুড়েই নানা প্রশ্ন উঠছে। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনগুলোর পাশাপাশি সরব তৃণমূল, কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, এই আইনের ফলে বৈষম্য বাড়বে। বৈষম্যের শিকার হবেন সংখ্যালঘুরা। পালটা কেন্দ্রের যুক্তি, কারও ধর্মাচারণে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। কারও জমি কেড়ে নেওয়া হবে না। রাজনৈতিক স্বার্থে বিরোধীরা অপপ্রচার করছে। ওয়াকফ আইনে মুসলিমরা উপকৃতই হবেন। এই পরিস্থিতিতে আজ থেকে দেশে লাগু হয়েছে এই বিতর্কিত আইন। আর আগামী সপ্তাহেই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে।
ওয়াকফ কী?
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা যে সম্পত্তি ধর্মপ্রচার এবং সমাজের উন্নতিকল্পে দান করেন, সেটাকে ওয়াকফ বলে। এই ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রি করা যায় না বা ব্যবসায়ীক স্বার্থে ব্যবহার করা যায় না। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, ওয়াকফ আসলে ঈশ্বরের সম্পত্তি।
কেন ওয়াকফ সংশোধনী?
সরকারের যুক্তি, এতদিন যে আইন ছিল, তাতে ওয়াকফের দখল করা জমি বা সম্পত্তিতে কোনও ভাবেই পর্যালোচনা করার সুযোগ ছিল না। কারও আপত্তি সত্ত্বেও জমি বা সম্পত্তি দখল করতে পারে ওয়াকফ বোর্ড। বিজেপির দাবি, ওয়াকফ সম্পত্তির সমস্ত সুবিধা ভোগ করছে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী। বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মুসলিমরা। নতুন আইনের মাধ্যমে সাধারণ মুসলিমরা উপকৃত হবেন। তাছাড়া, সাচার কমিটির রিপোর্টেও বলা হয়েছিল ওয়াকফ নিয়মের সংস্কারের প্রয়োজন। কিন্তু এই সনসদে বিল পাস হওয়ার পর থেকেই মণিপুর, উত্তরপ্রদেশের মতো একাধিক জায়গায় অশান্তির আগুন জ্বলেছে। ফলে এখন সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকেই তাকিয়ে দেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.