ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতি দ্রুত বিচারাধীন মামলাগুলির নিষ্পত্তি চাইল শীর্ষ আদালত। অন্ততপক্ষে তেমনটা সম্ভব না হলে যে সমস্ত মামলার শুনানি এখনই সম্ভব হচ্ছে না সেই সমস্ত অভিযুক্তের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ সাজা যাঁরা কাটিয়ে ফেলেছেন তাঁদের মুক্তির ব্যবস্থা করা হোক। এমনই অভিমত সর্বোচ্চ আদালতের। দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তিন মাসের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে সংশোধনাগারগুলিকে। মিটিয়ে ফেলতে হবে সেই সমস্ত জেলের বন্দিদের রেহাইয়ের কাজ, যাঁদের বিচারাধীন মামলা দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে।
গত ১ জুলাই থেকে ভারতীয় দণ্ডবিধির বদলে কার্যকর হয়েছে ভারতীয় ন্যয় সংহিতা। যার অনেকগুলির ক্ষেত্রেই পুরো নির্দেশ বা নিয়মের খোলনলচে পাল্টে ফেলা হয়েছে। এই অবস্থায় পুরনো বকেয়া মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চাইছে শীর্ষ আদালত। সেই বিষয়েই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশোধনাগারের সুপারিনটেন্ডেন্টদের। বিশেষভাবে সেই সমস্ত জেলের বিচারাধীন বন্দিদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে যেখানে স্থানের তুলনায় অপরাধীর সংখ্যা অনেক বেশি। সেই সমস্ত জেলের যে বিচারাধীন বন্দিরা তাঁদের অপরাধের জন্য প্রাপ্য সাজার এক তৃতীয়াংশ সময় কাটিয়েই ফেলেছেন তাঁদের দ্রুত মুক্তির কথা বলা হয়েছে নির্দেশে।
তবে এই নির্দেশ সেই সমস্ত অপরাধীর ক্ষেত্রে কার্যকর নয়, যাঁদের বিরুদ্ধে নিকৃষ্টতম এবং জঘন্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এবং যে অপরাধের ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন কিংবা মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজা হতে পারে তাঁদের অবশ্য কোনওভাবেই মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করেনি আদালত। বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবারই শীর্ষ আদালতের তরফে পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা ভারতীয় ন্যয় সংহিতা ৪৭৯ ধারা অনুযায়ী সারা দেশের সমস্ত জেলের সুপারিনটেন্ডেন্টদের জানাচ্ছি বিচারাধীন বন্দিদের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য। তাঁদের শাস্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব না হলে তাঁদের রেহাই দেওয়া হোক। এবং শাস্তির প্রক্রিয়া যত দ্রুত শেষ করা সম্ভব করা প্রয়োজন। এবং সেটা তিন মাসের মধ্যে।’’
বহু ক্ষেত্রেই জেলগুলির উৎসাহ ও আগ্রহের অভাব রয়েছে বলেও কটাক্ষ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দুমাস পরে ফের বিষয়টি নিয়ে শুনানি করবে সর্বোচ্চ আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.