ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সুপ্রিম’ রায়ে রাতারাতি চাকরি বাতিল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীর। ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলকে ‘অসাংবিধানিক’ অ্যাখ্যা দিয়ে তা বাতিল করেছে শীর্ষ আদালত। আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের জেরে আতান্তরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী। এর মাঝে মঙ্গলবার এসএসসির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হতে চলেছে শীর্ষ আদালতে। ৬ হাজারের বেশি সুপারনিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের বক্তব্য শুনবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। স্থির হতে পারে, রাজ্য মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হবে কি না।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য অতিরিক্ত শূ্ন্যপদ তৈরির অভিযোগ ওঠে, যা বেআইনি বলে দাবি করে আইনজীবীদের একাংশ আদালতের দ্বারস্থ হয়। মামলা গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে। শুনানিতে জানানো হয়, রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষেই ৬৮৬১টি সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করে নিয়োগ হয়েছিল। তাতে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। তা চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।
২০২৪ সালের এপ্রিলে ডিভিশন বেঞ্চও জানান, নিয়ম বহির্ভূতভাবে সুপারনিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হয়েছিল, তা ঠিক হয়নি। সিবিআই চাইলে মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হলে হাই কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
এতদিন সেই মামলায় স্থগিতাদেশ ছিল। আজ, মঙ্গলবার তা ফের শুনানির জন্য উঠবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে। স্থগিতাদেশের মেয়াদ কি বাড়বে নাকি হাই কোর্টের রায়ই পুনর্বহাল করবে সুপ্রিম কোর্ট? সেই প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে এদিনই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.