ফাইল ছবি
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আর জি কর মামলায় রাজ্যকে প্রশ্নবাণ শীর্ষ আদালতের। আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় সকালে। তখনই বিষয়টি টালা থানায় জানানো হয়। সকাল ১০ টা বেজে ১০ মিনিটে জিডি করা হয়। এর পর সন্ধ্যে ৬ টা ১০ থেকে ৭ টা ১০-এর মধ্যে হয় চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত। রাত ১১ বেজে ৩০ মিনিটে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হয়। এফআইআর হয় তারও ১৫ মিনিট পর অর্থাৎ ১১ টা বেজে ৪৫ মিনিটে। কেন ময়নাতদন্তের পর পর দায়ের হল অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ? কেন গোটা দিন পেরিয়ে রাত সাড়ে এগারোটায় সুরক্ষিত করা হল ঘটনাস্থল? লাগাতার প্রশ্নের মুখে সিব্বলের দাবি, তাঁদের কাছে টাইমলাইন রয়েছে। গোটা ঘটনায় বিস্মিত বিচারপতি জে পার্দিওয়ালা। তিনি বললেন, “ময়নাতদন্তের পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের। ৩০ বছরের কেরিয়ারে দেখিনি।” সবমিলিয়ে রাজ্যের দেওয়া টাইমলাইন নিয়ে বারবার প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট।
৯ আগস্ট থেকে আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় বাংলা। জল গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতে। বৃহস্পতিবার আদালতে স্টেটাস রিপোর্ট দেয় সিবিআই, রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ। এর পরই ঘটনার দিনের ঘটনাক্রম ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। সকাল ১০ টা থেকে এফআইআর দায়েরে কেন বেজে গেল রাত ১১ টা ৪৫? গোটা দিন পেরিয়ে রাত সাড়ে এগারোটায় সুরক্ষিত করা হল ঘটনাস্থল? তাহলে মাঝের সময়টা পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? সেই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি। যদিও কেস ডায়েরিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজুর সময় ১১ টা ৪৫ উল্লেখ করা হলেও রাজ্যের দাবি তা হয়েছে দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিটে। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, সবকিছুর ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। এফআইআর দায়েরে বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, “রাজ্য বলছে মৃতার বাবা এফআইআর দায়ের করার অনুমতি দেননি।”
এদিন রাজ্যের যুক্তিতে মোটেই সন্তুষ্ট নয় আদালত। বিচারপতি জে পার্দিওয়ালা বলেন, তিনি তাঁর ৩০ বছরের কেরিয়ারে দেখেননি যে আগে ময়নাতদন্তের পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হচ্ছে। কপিল সিব্বলের একাধিক যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। তুলোধোনা করেন কলকাতা পুলিশকেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.