সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে ইডি। ‘এভাবে কতদিন কাউকে আটকে রাখা যায়?’, প্রশ্ন আদালতের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআই, ইডি ও জেল হেফাজতে কতদিন করে থেকেছেন, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইঞার বেঞ্চ। আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি।
২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একাধিকবার জামিনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রভাবশালী তত্ত্ব বারবার তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বুধবারও সুপ্রিম কোর্টে ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের মামলার শুনানি। সেখানে প্রাক্তন মন্ত্রীর আইনজীবী মুকুল রোহতগী বলেন, “অর্থ তছরূপের মামলায় সর্বোচ্চ ৭ বছর জেল হয়। পুরনো নিয়মে বিচারাধীন অবস্থায় ফাঁসি বা যাবজ্জীবন মামলা ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সাজার অর্ধেক সময়ের বেশি হেফাজতে রাখা যায় না। ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় সেখানে এক তৃতীয়াংশের অপশন আছে। সেই হিসেবে ২৪ নভেম্বর ২৮ মাস হয়ে গিয়েছে।”
পালটা ইডির আইনজীবী বলেন, “এটা ৫০ হাজার শিক্ষকের জীবন, জীবিকার প্রশ্ন। বড় বিষয়।” আদালত প্রশ্ন করে, ইডির কনভিকশন রেট কত?” অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল বলেন, “এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশই হবে, মিলিয়ে নেবেন।” এর পরই আদালত কড়াভাবে ইডিকে প্রশ্ন করে, এভাবে কতদিন কাউকে আটকে রাখা যায়? এর পরই আদালতের তরফে জানানো হয়, পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.