বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা মামলায় সবপক্ষের হলফনামা তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। ১৪ ডিসেম্বরের আগে জমা দিতে হবে হলফনামা। সোমবার এই মর্মে রাজ্য-সহ সবপক্ষকে নোটিস দিল শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ ডিসেম্বর।
এদিন শীর্ষ আদালতে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রবীণ আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙভি। তাঁর কথায়, “বকেয়া ডিএ মেটাতে হলে রাজ্যকে বিরাট আর্থিক বোঝা টানতে হবে।” তাই বিষয়টি বিবেচনা করার আরজি জানান তিনি। এদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, এটা সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। সব রাজ্যে দেওয়া হয়। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর রাজ্য-সহ সকল পক্ষের হলফনামা তলব করল সুপ্রিম কোর্ট।
সময় পেরনোর পরও ডিএ না পাওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা হয়। কিন্তু তাতেও রাজ্য সরকার ডিএ দিতে নারাজ। আদালতে জানানো হয়েছে, এই হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই হাই কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনও জানাতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু আদালত সেই মামলা গ্রাহ্য করেনি। কড়া নির্দেশ ছিল, বকেয়া ডিএ মেটাতেই হবে। এরপর ডিএ (DA)মামলায় ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার।
এদিকে বকেয়া মহার্ঘভাতা (ডিএ)—র দাবিতে বুধবার বিক্ষোভ হয়েছে কলকাতায়। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের আন্দোলনে উৎসাহ দিচ্ছে বিরোধীরাও। এর পরই বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মানস ভুইঁয়া জানিয়ে দেন, সরকারি কমর্চারীদের পাশেই আছে রাজ্য সরকার। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন বলেন, “২০০৮ থেকে ২০১১ সালে ৩৫ শতাংশ ডিএ ছিল। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল মুখ্যমন্ত্রী সেটা বাড়িয়ে করে দিয়েছিলেন ৯০ শতাংশ। তখন ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ২০১৯ সালে পঞ্চম পে কমিশনের সুপারিশ মেনে নেওয়া হয়েছে। ডিএ ও বেসিক মিলিয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.