সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কর্মরত মহিলাদের ঋতুকালীন ছুটি নিয়ে আলোচনা, প্রস্তাব খুব কম দিনের নয়। এই ছুটি বাধ্যতামূলক করা হবে কি না, এই সময়ে কর্মক্ষেত্রে মহিলারা কোন ধরনের সুবিধা পেতে পারেন বা সমস্যা সম্মুখীন হতে পারেন, সেসব নিয়ে বার বার বিস্তর আলোচনা, সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু হয়নি। এনিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। কিন্তু সেই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির সাফ বক্তব্য, এই সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের ভার নিক রাজ্য সরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি।
২০২৩ সালে এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। বিভিন্ন রাজ্য সরকার এনিয়ে একাধিক নীতি রয়েছে। কোথাও কোথাও ঋতুকালীন (Period) ছুটি দেওয়া হয়। সংস্থার তরফে তা অনুমোদিত। আবার কোনও কোনও সংস্থা এতে নারাজ। এই বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতি থাকুক, তা চান কর্মরত মহিলারা। বিভিন্ন সংস্থারও দাবি তেমনটাই। এনিয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি ছিল। কিন্তু সেখানে এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করতে নারাজ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি (CJI) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য, ‘‘এই ধরনের ছুটি বাধ্যতামূলক করা হলে মহিলাদের কর্মক্ষেত্র থেকে দূরে রাখার প্রবণতা বাড়তে পারে, তা মোটেই কাম্য নয়। নারীদের সুরক্ষার নামে এই ছুটি বাধ্যতামূলক করা তাঁদের অসুবিধা বা কম গুরুত্ব দেওয়া বলে মনে হতে পারে। এটি আসলে সরকারি নীতি কিংবা আদালতের দেখার বিষয় নয়।’’ মামলাকারীকে তাঁর পরামর্শ, বিষয়টি মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক এবং অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটির দ্বারস্থ হোন। তাঁদের উদ্দেশেও প্রধান বিচারপতির আবেদন, এনিয়ে সর্বসম্মতিতে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতে। তবে ঋতুকালীন ছুটি চালু হলে কর্মরত মহিলাদের অনেকেই সুবিধা পাবেন বলেই মত অধিকাংশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.