সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে (Chandigarh Mayoral Polls) ‘কারচুপি’ নিয়ে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। অভিযুক্ত নির্বাচনী আধিকারিক অনিল মাসিকে তিরস্কার করে শীর্ষ আদালত জানাল, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ আরও জানায়, ভোটের আগে-পরে ঘোড়া কেনাবেচাও উদ্বেগজনক বিষয়। জানা গিয়েছে, অভিযোগ ওঠার পর নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে জবাবদিহি চেয়েছিল আদালত। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার একজন রিটার্নিং অফিসারকে জেরা করলেন প্রধান বিচারপতি, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হল।
উল্লেখ্য, সোমবারই তিনজন আপ (AAP) কাউন্সিলর বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন। তাতে চণ্ডীগড়ে মেয়র নির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের ক্ষমতা কার কাছে যাবে তা স্পষ্ট নয়। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আপাতত পুনর্বির্বাচনের সম্ভবনা নেই। বরং মঙ্গলবার মেয়র নির্বাচনের যাবতীয় ব্যালট পেপার ক্ষতিয়ে দেখা হবে। নতুন নির্বাচনী আধিকারিকের তত্ত্ববধানে গোনা হবে ব্যালট। আগেই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, মেয়র নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট পেপার বিকৃত করেছিলেন। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’ আরও বলা হয়, ‘গণতন্ত্রের নামে প্রহসন। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।’
গত ৩০ জানুয়ারি মেয়র নির্বাচন ছিল চণ্ডীগড়ে। বিজেপিকে রুখতে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল কংগ্রেস এবং আপ। ভোটের হিসাবে প্রথমে এগিয়েও গিয়েছিলেন আপ-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী কুলদীপ। মোট ৩৬টি বৈধ ভোটের মধ্যে জোট পায় ২০টি। অন্যদিকে, বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী মনোজ সোনকর পান ১৬টি ভোট। কিন্তু পরে কুলদীপের পাওয়া ৮টি ভোটকে বাতিল ঘোষণা করেন প্রিসাইডিং অফিসার অনিল মাসি। আপ-কংগ্রেস জোটের অভিযোগ, অনিল নিজেই কলম দিয়ে কয়েকটি ব্যালটে ‘দাগ’দিয়েছিলেন। পরে সেগুলোই বাতিল করেন তিনি। মেয়র নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ভোট দেন চণ্ডীগড়ের বিজেপি সাংসদ কিরণ খের। বিরোধী প্রার্থীর ৮টি ভোট বাতিল হওয়ায় তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা কমে হয় ১২।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.