সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে স্বস্তি পেলেন যোগগুরু রামদেব (Ramdev)। বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় মুচলেকা দিয়ে দোষ স্বীকার, বিজ্ঞাপন তুলে নেওয়া এবং বিজ্ঞাপনের বয়ান বদলের পর কাঠগড়া থেকে মুক্তি! যোগগুরু এবং তাঁর সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ভবিষ্যতে যেন একই ভুল (আদালত অবমাননা) না হয়, এই বিষয়ে সতর্ক করে তবেই রামদেবকে রেহাই দিল আদালত।
বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রামদেব ও তাঁর সংস্থাকে। বার বার সুপ্রিম কোর্ট ভর্ৎসনা করেছে তাঁদের। নির্দেশ মতো সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমাও চায় পতঞ্জলি। কিন্তু শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনা নাকচ করা হল। কারণ ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গি মোটেও আন্তরিক ছিল না। পরের দিন আবারও সুপ্রিম কোর্টের কাছে ক্ষমা চান রামদেব।
চলতি বছরের এপ্রিলে পতঞ্জলির এই বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত মামলায় রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণকে তলবও করেছিল শীর্ষ আদালত। শুরুতে তলব এড়ালেও আদালতে হাজরি দেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)। আইএমএ-র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল।
এছাড়াও কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। এর জন্য ‘মিথ্যা’ প্রচার চালানোর অভিযোগ ওঠে যোগগুরুর সংস্থার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। এই মামলাই অবশেষে বন্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট।এদিন বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার নির্দেশিকায় বলা হয়, “আমরা কঠোর ভাবে সতর্ক করছি, এই মামলার মতো ভবিষ্যতে যেন আদালত অবমাননা না হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.