ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্তন চেপে ধরা বা পাজামার দড়ি টেনে ধরা ধর্ষণের চেষ্টা নয়। এলাহাবাদ হাই কোর্টের সেই বিতর্কিত রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টও। শীর্ষ আদালতে যে মামলাটি দায়ের হয়েছিল সেটার সঙ্গে এলাহাবাদ হাই কোর্টের মূল মামলার কোনও যোগ নেই। তবে বিচারপতির ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া আর একটি মামলা খারিজ করল শীর্ষ আদালত।
সম্প্রতি এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রার বেঞ্চ এক পর্যবেক্ষণে জানায়, স্তন খামচে ধরা এবং পাজামার ফিতে খুলে ফেলা ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা নয়, সেটা শারীরিক নিগ্রহ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। সোমবার বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী এবং বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালের বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি। কিন্তু এদিন মামলাকারী উপস্থিত ছিলেন না। এমনকী তাঁর নিজস্ব আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন না।
মামলাটি বেঞ্চে উঠতেই অন্য আইনজীবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ স্লোগান দিয়ে সওয়াল শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতি ত্রিবেদী তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, “এটা আদালত। কোনও লেকচার দেবেন না।” এরপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, মামলাকারী বা তাঁর যে আইনজীবীর আদালতে উপস্থিত থাকার কথা, তাঁরা নেই কেন। এরপরই মামলাটি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। তবে এই মামলার সঙ্গে মূল মামলার যেহেতু কোনও সম্পর্ক নেই, তাই নির্যাতিতা তরুণী চাইলে নতুন করে শীর্ষ আদালতে মামলা করতেই পারেন।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে ১১ বছরের নাবালিককে ধর্ষণের চেষ্টার মামলায় এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রার বেঞ্চ জানায়, স্তন খামচে ধরা এবং পাজামার দড়ি খুলে ফেলা ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের চেষ্টা নয়। আদালত সূত্রের খবর, ২০২১ সালে কাশগঞ্জে এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। তারা নাবালিকাকে ভুলিয়ে রাস্তায় কালভার্টের কাছে টানতে টানতে নিয়ে যায়। এরপর স্তন খামচে ধরে এবং পাজামার দড়ি খুলে ফেলে। নাবালিকার চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তখনই ছুটে পালিয়ে যায় দুই অভিযুক্ত। সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠলেও শুনানি হল না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.