সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনই ধারাভি পুনরুন্নয়ন প্রকল্পে স্থগিতাদেশ নয়। আদানি গোষ্ঠীকে বড়সড় স্বস্তি দিয়ে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। আদানি গোষ্ঠীর কাজে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আমিরশাহীর সংস্থা সেকলিক টেকনোলজিস কর্পোরেশন। ওই সংস্থার দাবি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
২০২২ সালে এশিয়ার বৃহত্তম বসতি ধারাভির উন্নয়নের ভার দেওয়া হয় আদানি গোষ্ঠীকে। ৫ হাজার ৬৯ কোটি টাকায় বসতি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাত পায় বিখ্যাত শিল্পগোষ্ঠী। যদিও ইংরেজ আমলে তৈরি বসতির উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আশঙ্কায় স্থানীয়রা। বাসিন্দাদের একাংশের ধারণা এর ফলে ধারাভির নিজস্বতা ধ্বংস হয়ে যাবে। ভারতে বেড়াতে আসা বিদেশিরা আর তাঁদের বসতিতে আসবেন না।
সেকলিক গোষ্ঠীর দাবি তাঁরা ধারাভি পুনরুন্নয়নের বরাত পাওয়ার জন্য ৭২০০ কোটি টাকার দরপত্র হেঁকেছিল। আদানিরা এই বসতি পুনরুন্নয়নের দায়িত্ব পেয়েছে বেআইনিভাবে। তাই এই প্রকল্পের কাজে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ দেওয়া উচিত। সেকলিক গ্রুপ সুপ্রিম কোর্টে এটাও দাবি করে যে, দরকার পড়লে আগামী দিনে নিজেদের দরপত্র আরও ২০ শতাংশ বাড়াতে রাজি তারা। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানাল, এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই সেটা আর থামানোর কোনও যুক্তি নেই। শীর্ষ আদালত এদিন এই নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকার এবং আদানি গোষ্ঠীকে নোটিস দিয়েছে। আগামী ২৫-মের মধ্যে এ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে তাঁদের। একই সঙ্গে সেকলিক গ্রুপকেও শীর্ষ আদালত নিজেদের নতুন দরপত্রের বিস্তারিত তথ্য হলফনামা আকারে জমা দিতে বলেছে।
মধ্য মুম্বইয়ে প্রায় ৩০০ একর জমি নিয়ে বিস্তৃত এশিয়ার বৃহত্তম তথা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম বসতি ধারাভি। এখানে বাস করেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। গত ১৫ বছর ধরে ধারাভির উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ আটকে। এই ১৫ বছরে অন্তত ৪ বার মহারাষ্ট্র সরকার ধারাভি বসতির উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার ডেকেছিল। কিন্তু নানা কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। বার বার ধাক্কা খেয়েছে উন্নয়ন পরিকল্পনা। এবার তা সম্ভব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.