ফাইল ছবি।
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া কি বাতিল করা হবে? না বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া বলে যে শত শত অভিযোগ উঠছেন, সেই প্রার্থীদের বাছাই করে তাঁদের চাকরি বাতিল করা হবে? এসএসসির SLST মামলায় এই দুটি বিষয় নিয়েই আলোচনার পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি পিছিয়ে এমনই বক্তব্য জানাল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। ফলে আজও ঝুলে রইল ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ। আগামী বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর মামলাটির পরবর্তী শুনানি। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মামলা শুনবে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার এসএলএসটিত-তে প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বেশ কয়েকটি প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই। ওএমআর শিট সংক্রান্ত যেসব নথি পেশ করেছিল সিবিআই, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিচারপতিরা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, একে এতটা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি জটিল করা হচ্ছে কেন? প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার মন্তব্য, ‘‘এই মামলায় মূলত দুটো বিষয় বিবেচনা করা হবে। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হবে নাকি প্রার্থীরা কারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, সেটা বাছাই করে বাতিল করা হবে।” এদিন শীর্ষ আদালতে চাকরিপ্রার্থীদের ভিড় দেখে খানিকটা ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি। বলেন, ”এত ভিড় কেন? আমরা তো এই মামলা পরের সপ্তাহে শুনব। বৃহস্পতিবার শুনানি হবে। নির্দিষ্ট দুটি বিষয়ই বিবেচনা করা হবে এবং তার উপর সওয়াল-জবাব হবে।”
চলতি বছরের এপ্রিলে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ফলে রাতারাতি চাকরি হারান ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারাদের একাংশও মামলা দায়ের করে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় হাই কোর্টের ওই নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। এখনই তাঁদের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ। তা পিছিয়ে গেল ১৯ তারিখ পর্যন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.