সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: জোর করে ও ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তকরণ (Religious conversion) রুখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রককে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি এম আর শাহের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে বলে, ভয় দেখিয়ে, উপহার ও অর্থের লোভ দেখিয়ে, প্রতারণা করে ধর্মান্তরিত করা ব্যাপকভাবে চলছে। তা রুখতে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে কড়া আইন আনা হবে। কেন্দ্রকে নিজেদের মতামত জানাতে চার সপ্তাহ সময় দিয়ে ১৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়ের আরজির ভিত্তিতেতে শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয় শুক্রবার। অশ্বিনীর আবেদন ছিল প্রতারণামূলক ধর্মান্তর রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর অভিযোগ, ভীতি প্রদর্শন, হুমকি, প্রতারণা করতে উপহার দেওয়া এবং আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে প্রলুব্ধ করার মতো নানা উপায়ে ধর্মান্তর করা হচ্ছে। তাঁর মতে, কোনও নির্দিষ্ট রাজ্য নয়, দেশজুড়েই এই সমস্যা ক্রমে মাথাচাড়া দিচ্ছে। একে অবিলম্বে মোকাবিলা করা দরকার।
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া আবেদনে আরও বলা হয়েছে, যেনতেন প্রকারেণ ধর্মান্তকরণের হাত থেকে মুক্ত নয় কোনও একটি জেলাও। এর ফলে বৃহত্তর ভাবেই দেশের আমজনতাকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহেই দেশে বিভিন্ন অংশ থেকে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র বা রাজ্য প্রশাসনের তরফে এর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে ধর্মান্তর বিরোধী আইন চালু করা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে চালু হওয়া ধর্মান্তর বিরোধী আইনে দেশে প্রথম সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠেছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ধর্মান্তর বিরোধী আইন পাশ করা হয় উত্তরপ্রদেশে। মূলত লাভ জিহাদ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। এই আইনে দোষীদের জন্য সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে আইনে। তবে যদি কেউ বিয়ে করে ধর্মান্তর করাতে চেষ্টা করে, শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.