ফাইল ছবি।
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ওবিসি শংসাপত্র বাতিল সংক্রান্ত কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্যকে নোটিস জারি করা হয়েছে। তার আগে সোমবারের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ সর্বোচ্চ আদালতের। মূলত তিনটি বিষয় হলফনামায় জানাতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। সেগুলি হল – এক, কোন কোন দিক দেখে ৭৭টি জনজাতিকে ওবিসির তালিকায় যুক্ত করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, ওবিসি তালিকায় ৭৭টি জনজাতির মধ্যে ৩৭টি জনজাতি এবং বাকি উপজনজাতির ক্ষেত্রে কি ব্যাকওয়ার্ড কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল? তৃতীয়ত, রাজ্যের তরফে কী পদ্ধতি মেনে সার্ভে করা হয়েছিল? আগামী ১৬ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।
চলতি বছরের গত ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টের ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল সংক্রান্ত বড়সড় রায় দেয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। তবে ২০১০ পরবর্তী অর্থাৎ ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের দেওয়া সমস্ত সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হয়। তার ফলে বাতিল হয়ে যায় কয়েক লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র। ডিভিশন বেঞ্চের দাবি, ২০১০ সাল পরবর্তী ওবিসি সার্টিফিকেট বৈধ নিয়ম মেনে ইস্যু করা হয়নি। তাই শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ।
এই শংসাপত্র কাজে লাগিয়ে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন। তবে শংসাপত্র বাতিলের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও প্রভাব পড়েনি। তাঁদের সকলের চাকরি বহাল থাকবে বলেই জানায় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের বক্তব্য, ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন অ্যাক্ট ১৯৯৩ অনুযায়ী ওবিসিদের নতুন তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই তালিকা বিধানসভায় পেশ করে চূড়ান্ত অনুমোদন নিতে হবে। তবে ২০১০ সালের আগে যে যে গোষ্ঠীগুলিকে ওবিসি শ্রেণিভুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলি বৈধ থাকছে বলেই জানায় হাই কোর্ট। হাই কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে যায় রাজ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.