সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরকে নোটিস জারি সুপ্রিম কোর্টের। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর গত বছর আগস্টে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়। কিছুদিন আগে তাকে জনসুরক্ষা আইনের (PSA) অধীনে আটক করা হয়। এবার সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন ফাইল করেন মেহবুবার মেয়ে ইলতিজা জাভেদ।
পিটিশনে (Pitition) ইলতিজা জাভেদ জানান, “কোনও নির্দিষ্ট কারণে নয়, ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে আটক করে রাখা হয়েছে মেহবুবা মুফতিকে। এমনকি তাঁকে আটক করে রাখার কারণগুলিও যথেষ্ট মামুলি।” মেহবুবা মুফতিকে আটক করার কারণ হিসেবে ইলতিজা পিএসএ আইনের উপরই প্রশ্ন তোলেন। মেহবুবার উপরে পিএসএ আইন লাগু করার জন্য কেন্দ্র যে কারণগুলি দর্শায় সেই কারণগুলিকেও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন ইলতিজা জাভেদ। পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে যে তাঁর মাকে আটক করা হয় এমন দাবিও ইলতিজা জানান পিটিশনে। অপরদিকে, মেহবুবার সম্পর্কে পিএসএ আইনের দলিলে বলা হয়েছে, “কাশ্মীরে অশান্ত ছড়ানো, উসকানিমূলক মন্তব্যের জন্য দায়ী মেহবুবা মুফতি। তিনি অত্যন্ত কৌশলী ও ফন্দিবাজ।” তাঁকে মধ্যযুগীয় ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে যাঁরা শত্রুদের নিধনে বিষ প্রয়োগ করতেও পিছপা হতেন না।
এদিন জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের কাছে পিটিশন সংক্রান্ত তথ্য জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন ফাইল করার আগে কেন ইলতিজা জাভেদ হাই কোর্টে পিটিশন ফাইল করেননি সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলে। ১৮ মার্চ মেহবুবার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। আগস্টে জারি হওয়া জনসুরক্ষা আইনের মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি। তবে সেই আইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ফের জন সুরক্ষা আইন লাগু করা হয় মেহবুবা মুফতির উপর। মেহবুবার মতো ওমর আবদুল্লাকেও জনসুরক্ষা আইনের অধীনে বন্দি করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.