Advertisement
Advertisement

Breaking News

Supreme Court

উপাচার্য নিয়োগ মামলায় তিন সপ্তাহ সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট

বিচারপতি সূর্য কান্ত দ্রুত এই কাজ শেষ করার কথা বলেন।

Supreme Court gave the state three weeks in the case of appointment of vice-chancellor

ফাইল ছবি

Published by: Suhrid Das
  • Posted:January 8, 2025 1:58 pm
  • Updated:January 8, 2025 7:47 pm  

সোমনাথ রায়, নয়া দিল্লি: বাংলার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত জট কাটাতে আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালকে তিন সপ্তাহের সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট।  এদিন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের উপাচার্য নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল। সেখানে আরও কিছুটা সময় চাওয়া হয়। রাজ্যপালের তরফে এজি ভেঙ্কটরামানি জানান, উপাচার্য নিয়োগের জট কেটে যাবে। তবে সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় দেওয়া হোক। সর্বোচ্চ আদালতে বিচারপতি সূর্য কান্ত, দীপঙ্কর দত্ত এবং উজ্জল ভূঁইয়ার এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল।

অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমণি বলেন, “দয়া করে আরও কিছু সময় দিন। এই প্রক্রিয়ায় কিছু ইতিবাচক কাজ হয়েছে।” উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা কাটছে। ১৭টি নামের ক্ষেত্রে দুই তরফে জটিলতা কেটে গিয়েছে। আরও ১৭টি নামের ক্ষেত্রে কিছু মতভেদ আছে। সেই মতভেদও কাটিয়ে ফেলা হবে আগামী দিনে।  এজি আরও বলেন, “আমি অধ্যক্ষ এবং রাজ্যের মধ্যে আরও মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।” 

Advertisement

সেক্ষেত্রে বিচারপতি সূর্য কান্ত দ্রুত এই কাজ শেষ করার কথা বলেন। তিনি জানান, যে মুহূর্তে মতবিরোধ দেখা দেবে, আদালত পদক্ষেপ করবে। আদালতের মূল্যবান সময় বাঁচানোর কথাও তিনি বলেন। এই জটিলতা কাটাতে দক্ষ আধিকারিকদের ব্যবহার করার কথাও বলেন বিচারপতি। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “১৭ নম্বরটি একটি ভালো সংখ্যার মতো শোনাতে পারে। কিন্তু এটি ৩৪-এর মধ্যে ১৭ নম্বর।” এরপরই আদালতকে মনে করিয়ে দেন ৯ ডিসেম্বরের শেষ শুনানিতেও এক কথা বলা হয়েছিল রাজ্যপালের তরফে। সেদিন আদালত তিন সপ্তাহের সময় দিলেও এখনও অর্ধেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা যায়নি। এরপরই তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই আমরা আট সপ্তাহ পিছিয়ে আছি।” দুই তরফের বক্তব্য শোনার পর তিন সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয় আদালত। বিচারপতি সূর্য কান্ত দ্রুত জটিলতা মিটিয়ে নিয়োগের কথা বলেন। 

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল। এনিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত নামের তালিকার চূড়ান্ত খসড়া তৈরির জন্য বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয় আদালত। অ্যাটর্নি জেনারেলকে বৈঠকের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। সেই কথা জানানো হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালতের সেই বক্তব্যের পরেই রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছিল।

 

 

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement